Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

অণুগল্পে শিপ্রা দে

maro news
অণুগল্পে শিপ্রা দে

স্বাভিমান

রিয়া সর্ব গুণসম্পন্না,একটা স্কুলে চাকরি করছে, অনিমেষের সাথে পরিচয় পরিণয়ে পরিণত হয় ।দুবছর ভালোই কেটেছে ওদের,তারপর শ্বশুর বাড়িতে শুরু হয় সন্তান এর চাহিদা। রিয়া একটা শর্তে বিয়ে করেছিল যে তাঁর মা বাবা এতো কষ্ট করে এতদূর লেখাপড়া করিয়েছেন আর তাঁর ও ইচ্ছে সে চাকরি করবে। অনিমেষ কথাও দিয়েছিল বিয়ের পর যতক্ষণ রিয়া সরকারী চাকরি না পাবে ততক্ষণ কোনো সন্তান নেবে না,কিন্তু বাস্তব যে অন্য কথা বলে। বিয়ে হয়েছে এবার বাচ্চা চাই,অনিমেষ ও গোঁ ধরে। অনেক বুঝিয়ে ও কাজ হয়নি, রিয়া চাকরির পরীক্ষার তৈরি করতে ঠিক মতো মন লাগাতে পারে না ।অনিমেষ বলে আমি তোমাকে সব স্বাধীনতা দিয়েছি এখন বাড়ি থেকে যখন বলছে তাহলে বাচ্চা নিয়েই নিই,অথচ অনেক চেষ্টা করেও বাচ্চা আসছে না,ডাক্তার দেখানো হলো রিয়ার কোনো সমস্যা নেই, ডাক্তার অনিমেষকে একবার চেক আপ করতে বলেন।অনিমেষ মানে না বলে আমি তো fit n fine আমার কোনো প্রব্লেম নেই আমি কেন ডাক্তার দেখাবে? এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ,তারপর মনোমালিন্য রোজগার ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এখানেই সব শেষ হয়ে যায় রিয়া বলে " বাচ্চা চাই তো তোমার চেক আপ করতে অসুবিধা কোথায়? সে তুমি না করাতে চাও তোমার ব্যপার। তবে আমাকে স্বাধীনতা দেবার তুমি কে? "আমার স্বাধীনতা তো আমারই,আর আমি আগেই বলেছিলাম যে আমি চাকরি পেলে তারপর বাচ্চা নেবো।" তারপর তুমি নিজেও ডাক্তার দেখাবে না বাচ্চা কি আপনাআপনি এসে যাবে? রিয়ার স্বাভিমানে লাগে।অনিমেষ মানতে নারাজ আজ ওঁরা ডিভোর্স ফাইল করে মিউচুয়াল ডিভোর্স।রিয়া কোনোমতে নিজের ক্যারিয়ারের চেয়ে সংসার বড়ো মনে করে না। তবু যদি অনিমেষ গোয়ারপানা না দেখা তো তবু দেখা যেত সে না হয় তাঁর মা ও বলেছিলেন যদি বাচ্চা নিস আমি তো আছি।কিন্তু বেইমানি তো একদমই না।এখন ওর সামনে খালি নিজের ভবিষ্যত।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register