Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

ছোটগল্পে ঋতুপর্ণা দাস

maro news
ছোটগল্পে ঋতুপর্ণা দাস

কাঠের বাড়ি

রাত পোকারা ভেসে বেড়ায় ঘুমের মধ্যে। ছুঁতে পারিনি। বিপজ্জনক যা-কিছু সরিয়ে রেখেছি। দূরত্ব বাড়াতে বাড়াতে নিজেকেও ভুলে গেছি মাঝেমাঝেই! সত্যি বলেই ভাবি এসব কথা। জন্মদিনের মাস অথচ গায়ে পলাশঘোর! খাতায় কালো রঙ একেঁ পালিয়েছে বাচ্চারা। রাত্রি ঘন হয়ে এলে গুজব ভেবে উড়িয়ে দিই ছাই।
চোখের সামনে কলেজ ফেরত সাইকেল, পেয়ারাকাকু, কলেজস্ট্রীট! অন্ধকূপে ঝাঁপ দিই আজও। বান্ধবীদের কথাও ঝাপসা হয়ে আসে। উচ্চ আদালতে এসব খবর পৌঁছাতে দেরি আছে। চায়ের দোকানে, ভেজা রাস্তাতে বা ভিক্টোরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিট হেঁটে যাওয়াতে ভিতর ঘরের হারমোনিয়ামের শব্দ খসে পড়ে। জলের কাছাকাছি এলে সমস্ত ভুল পাথর হয়ে যায়! পাথরকুচির সাথে জুলাইয়ের নরম ডানার সম্পর্ককে আমি ঝড়ের নাম দিই। তোমার মত! ভেবেছিলে প্রত্যেকটা বিকেলবেলার ডাকনাম দেবে!
ফিরতে গেলেই হোঁচট খাই। ঠোঁটের রঙে ঘুম ভেঙে যাওয়ার শব্দ শুনি রোজ! রাস্তায় রাস্তায় জেগে ওঠে আদিম অপেক্ষা। দেরি হয়ে গেলে আর হাঁটা যাবে না এই পথ!
এখনও ওই জায়গাটা আছে? যেখানে মানুষ থাকেনা! কাঁটাতারের বেড়া? আকাশ থেকে ঝরে পড়ে সাদা কাগজ! কাগজ দিয়ে আমি নৌকা বানাই। নৌকা করে গাছের পাতা, ঝলসানো চাঁদ, বর্ষাকাল চলে যায় ওইখানে! তবু মানুষ যায়না! তুমি এলে আমরা না হয় একবার যাব! তখন তো আর মানুষ হবনা!
আমি সব ভুলে যেতে পারি। প্রথম থেকে আবার ভালোবাসতে পারি! গাছেদের প্রথম পাতাঝরা, ট্রেন বন্ধের আওয়াজ শুনতে পারি। জ্বরের গায়ে উড়োজাহাজ দেখতে দেখতে তোমার আঙুলের ফাঁকে একটা কাঠের বাড়ি বানাতে পারি!
খুব রাত হলে এই শহরের প্রথম গলিতে ওরা আসে। দেওয়ালে এঁকে দেয় পিঠ! পিঠ বেয়ে বৃষ্টি নামে। ঘুমিয়ে থাকতে পারার কথা আঁকতেই শরীর থেকে শরীর খসে পড়ে।
স্বপ্নরঙের মেয়েটা তোমায় হাত ধরে নিয়ে আসে আমার কাছে। রাত হলে স্বপ্ন নামে রোজ– তোমায় নিয়ে একটা কাঠের বাড়ি বানাবই, বানাবো।।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register