মাঝরাতে জানলা খুলে দেখি, বারান্দায় বসি
খোলা বাতায়নে শ্বাস নিই , জগতের রূপ
আঁধারে অবলোকন করি , খোলা আসমান
প্রাণ খুলে' ছড়িয়ে দিয়েছে তার বিশাল বিস্তার,
সেখানে চিন্তার কোনো ভাঁজ-টাঁজ
বিবর্তন চোখে তো পড়ে না, শুধু
পৃথিবীতে সুনশান গুহাচিত্র আঁকা আছে--
বাঁকা চাঁদ বিরহের বিষণ্ণ প্রতীক।
ততোধিক পীড়া দ্যায় বিভিন্ন রিপোর্ট----
হতাশা বেড়েছে খুব মানুষের মনে
পর্নো দ্যাখা বেড়ে গেছে ভয়ঙ্করভাবে
বোতলের জন্য সব মুখচূণ ঘরে, মহিলা-প্রজাতি
আরো বেশী বেশী সন্তানসম্ভবা হবে অচিরেই,
কাজ হারানোর ভয় , মহামারী দুর্ভিক্ষের ভয় ,
যতক্ষণ বেঁচেবর্তে আছো এই স্বজন -সভায়
দায়হীন দীক্ষাহীন আস্বাদন ক'রে যাও
যতোখানি পারো যতো দ্রুত পারো সবটুকু ,
তারপর ধুঁকতে ধুঁকতে ঢ'লে পড়ো করোনার বিচিত্র ছোবলে---
ত্রাসের সংক্রমণ শুধু গ্রাস ক'রে আছে---
এ জীবন বাঁচে কি না বাঁচে , শেষ ক'রো কাজ
প্রতিটি প্রহর সাজো সাজো !
বেঁচে আছো ? লকডাউনে যাও ,
নিজেকে বিচ্ছিন্ন করো তৃষ্ণা ক্ষুধা সংসার
সমাজ থেকে। বেঁকে বসে মনের শঙ্খচিল----
তার অবাধ উপনিবেশ ভেস্তে যাবে একতিল
ভাইরাসের দৌরাত্ম্যে ? তা কখনো হয় ?
মনোবল বাড়াও কবি, হও নিঃশঙ্ক নির্ভয় ।
বিষণ্ণ আঁধার বাতায়নে বারান্দায় নিরাপদ শ্বাস খুঁজি,
দেউড়ি ফটক বাড়িঘর সমাজ শহর শ্বাস খুঁজে
দেওয়াল তুলে ঘুমন্ত পুরীর মতো পাহাড়ের মতো,
প্রার্থনা জানায় এক বিমুক্ত সকাল ।
অন্তরালে হাসে যেন মহাকালের খেয়াল---
মানবজাতিটা আজ বড়োই বড়োই এতো
প্রাণের কাঙাল !!
0 Comments.