Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ১৬)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ১৬)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

ষড়োদশ পর্ব

কবির তলদেশে একজন ঈশ্বর থাকেন, কবিতার উপরে আরেকজন। আদর ক্রমশ আদর্শ থেকে নীচে নামিয়ে নীহার গোধূলির আলোমাখা আকাশপটের চৌদোলা এঁকে রাখে। আসলে কে যে কবিতা! আর কেই বা কবি!

হঠাৎ অনেকটা মেঘ একার হয়ে যায়, আবার কখনো অনেকটা মেঘ ভাগ হয়ে যায়। সবই সময়ের চিহ্ন, একদিকে বিশালসংখ্যক বিরোধীগোষ্ঠীর এবং না, যেহেতু সেহেতু, ঠিক ভুল, অপরদিকে একা একটা "পলাশবাড়ী"। নীহার সেখানের একচ্ছত্র সম্রাট। মানা, না মানা, হয়েছে হয়নি, পর্যবেক্ষণ না করেই অখাদ্য চাষ করে রাখে খাতায়, পাতায়, শরীরে, কামড়ে।

আসলে কবিতা ঠিকানাহীন, বাস্তুহারা, অচেনা, অধরা, তাই তাকে ধরার বা বাঁধার এত চেষ্টা। চেষ্টা পেরিয়ে যে চাকচিক্যের অবিরাম অগ্রযাত্রা, এই ত্যানাগোলো খুলে সেদিকে আমাদের দেখায় হয়ে ওঠে না। আমরা দেখি মেঘ ওঠে, বজ্রপাত হয় কিংবা শুধুই বৃষ্টি। যেটা দেখতে ভুলেই যাই তা হল, হালকা বৃষ্টি হলে ফাঁকা মাঠের দিকে তাকিয়ে থাকলে বৃষ্টি হচ্ছে কিনা তা বোঝায় যায় না। অতঃপর তার অপর প্রান্তে একটা বাধা দেওয়ার সাথে সাথেই তা সুমধুর দৃশ্যের রূপ নেয়।

কবিতা ঠিক এরকমই, যেটা কিছু নয় মনে হচ্ছে তার ভিতর ঢুকে আরও ভাল করে দেখার পর সেটাই আরও অনেককিছু মনে হবে। যে মুহুর্তে কিছু নয় মনে হচ্ছে তার কিছুটা পরে দেখলেও অন্য আকার এসে সামনে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখিয়ে যায়। আদতে আমরা এটা ভাবতে ভুলেই যাই যে---

"আমার চেয়ে আমার মৃত্যু অনেক বৃহৎ হয়"

কবিতার মানে হয় না। আসলে ব্যাপারটা যে ঠিক এরকমই সেটাও না। মানে হয়, প্রতিটি কবিতার মানে হয়। আসলে নির্দিষ্ট কিছু মানে হয় না কবিতার। যে বোধ কবির তলদেশে বসে, আর যে বোধ কবিতার উপরে সেখান থেকে খুঁড়ে তেলচুকচুকে প্রাণারণ্যে ঢোঁ মেরে এলে যে অনিবার্য অনিশ্চিত জন্ম নেয় সেটাই কবিতার মানে। এটা একটা পর্যায়ের পর হয় যখন আর না বুঝতে পারার আক্ষেপ আসে না, শুধুই প্রাণান্তকর লড়াইয়ের একের পর এক সমাপ্তি শুধু একটাই সরলরেখা ধরে এগিয়ে যায়।

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register