Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ১৪)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সীমন্তি চ্যাটার্জি (পর্ব - ১৪)

স্রোতের কথা

পর্ব - ১৪

আশীর্বাদের উপহার
আমি একটা হাল্কা মেঘের উপর দিয়ে ভেসে চলেছি। ভেসেই চলেছি,উফ্ কীইই যে ভালো লাগছে... আচ্ছা!আমার হাত,পা,চোখ,মুখ,নাক, ঠোঁট... আমার শরীর টা কোথায় গেল? আমি 'আমাকে' অনুভব করতে পারছি... কিন্তু যে শরীর টা আমার পরিচয়... আমার আইডেন্টিটি।সেটাকে আলাদা করে ফিল্ করতে পারছি না কেন? নাকি আমার পুরো শরীরটাই একটা মেঘ হয়ে গেছে...আর সেই মেঘ টা আসলে আমার মন?নাঃ... এই তো আমার চোখ...না হলে আমি দেখতে পাচ্ছি কি করে...এই তো আমার ত্বক...যার উপরে আমি ঠান্ডা ঠান্ডা মেঘের (নাকি আকাশের)স্পর্শ অনুভব করতে পারছি! আচ্ছা... আমি ঠিক কোথায় চলেছি?কোন অচেনার টানে‌, অজানা পথে পাড়ি দিয়েছি? আমি পাড়ি দিয়েছি বলাটা ভুল হোলো বোধহয়!এই গতিটা...এই যাত্রাটার উপর আমার তো বিন্দুমাত্র নিয়ন্ত্রণ নেই...এক অমোঘ, অপ্রতিরোধ্য টান যেন আমাকে টেনে নিয়ে চলেছে।অথচ আমার কোনো উৎকন্ঠা, উদ্বেগ কিছুই নেই! বরং আমার ভীষন ভীষন ভালো,ভীষন নিশ্চিন্ত লাগছে, যেন এটাই আমার ভবিতব্য...আমি যেন যুগ যুগান্ত ধরে এই ভাবেই ভেসে ভেসে বেড়াই... আমার এই পথ গুলো তাই ভীষন চেনা... আমার প্রানের ভিতরে! আমার অবচেতনে এর ছাপ যেন যুগ যুগ ধরে আঁকা... আরেহ্...!! এটা কোন জায়গা!কি সুন্দর... কতো যে নাম না জানা ফুল... কি মিষ্টি স্বর্গীয় গন্ধে চারপাশ ভরা... স্বর্গ.... হ্যাঁ....এটাই স্বর্গ...তাহলে কি আমি মারা গেছি? আমি একটা আত্মা?? কবে মারা গেলাম আমি?? আমি না একটা ভ্যাম্পায়ার?এই তো সন্ধেবেলা আমি ইসপ্যামা তে এলাম... দিয়ার সাথে! এর মধ্যেই কি মরে গেলাম নাকি? যা বাব্বাঃ "নাঃ.. তুমি বেঁচে আছো স্রোত..." একটা জলতরঙ্গের মতো মিষ্টি কন্ঠের মিষ্টি সুর আর রিনরিনে্ হাসি যেন আমার মাথার মধ্যে বেজে উঠলো... আরেহ্... আমি কখন এই বিশাল লেকটার কাছে এলাম? না না শুধু কাছে তো নয়... আমি এই কারুকাজ করা নৌকাটাতে কিভাবে উঠলাম... ইনি কে?আঃ... কি অপূর্ব...জ্যোতি, শক্তি সুষমা সব কিছু এই নারীর পায়ের তলায় লুটিয়ে আছে...এই রূপের...এই তেজের কোনো বর্ননা হয় না... নাঃ শুধু নারী তো নন... ইনি নিশ্চয়ই দেবী...আর তাঁর পাশে যিনি বসে আছেন...এক পুরুষ...ইনি এই দেবীর যোগ্য সঙ্গী....তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা... দু'জনের অপার্থিব সঙ্গ আর অপরিসীম রূপে এই স্বর্গ যেন আলোকিত হয়ে উঠেছে... "নতুন জীবন শুরু করার আগে আমাদের আশীর্বাদ আর শুভেচ্ছা নেবেনা স্রোত?" খিলখিলিয়ে নিষ্পাপ শিশুর মতো হেসে উঠলেন এই দেবদেবী যুগল...আর আমার খুব কাছে এগিয়ে এসে আমার হাতে একটা আংটি পরিয়ে দিলেন সেই মহাদেবী... আমার মাথার মধ্যে আবার সেই মন মাতানো সুরেলা কন্ঠস্বর বেজে উঠলো...!! "স্রোতস্বিনী কে 'নিক্স' আর 'এরবাসের' তরফ থেকে ভালোবাসা ও শুভ কামনা... তুমি যেন ক্ষমতার সঠিক প্রয়োগ আর কর্তব্য পালন করতে পারো...আমরা তোমার সাথেই আছি। সবসময়.....কখনো তার মতো ক্ষমতার অপপ্রয়োগ কোরোনা কিন্তু.... লক্ষ্মী মেয়ে " উফফফফ্ এক ভয়ানক টান.... আমি এই জগত থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি... আমার পিছনে একমূহুর্তে আবছা হয়ে গেলেন সেই অপার্থিব করুনা মাখা মুখের দৈবী যুগল...... এ আমি কোথায় এলাম!!!!!! এক ঘাসে ঢাকা বরফ মাখা পাহাড়ের চূড়া না??? ওঃ গড্ !!! কি হচ্ছে এসব? আমি কি স্বপ্ন দেখছি? না মরেই গেছি? এই নিঃসঙ্গ... একাকি বরফ মাখা পাহাড়ের চূড়ায় কি করছি আমি???? একটা মনেস্ট্রি না???... হ্যাঁ ...মনেস্ট্রিই তো.... আরে! আমি কখন এর মধ্যে ঢুকলাম? কি অপূর্ব শান্তি মাখানো এই নৈসর্গিক পরিবেশ... এর ভিতরের মন্দির টা যেন আমাকে ডাকছে... এই তো ভিতর টা...কি অপূর্ব....না না ... আমি আর কোথাও যেতে চাই না... এখানেই থাকবো.... এই মায়া মাখা পাহাড় চূড়ার মনেস্ট্রি তে... "তাই কি হয়??? তোমার কতো কাজ এখন..." কে ইনি??? এ কি অপরূপ অদ্ভুত রূপ... এতো ভীষন দর্শনা....তবু এতো মায়াবতী??? টুকটুকে লাল গায়ের রঙ...চার'টে হাত...এক হাতে ফুলের তীর ধনুক....এক হাতে মাথার খুলি বলেই তো মনে হচ্ছে...এক হাতে একটা রক্তমাখা ছুরি...আর এক হাতে পদ্মফুল..আর তাঁর পিছনে এক অপূর্ব জীবন্ত দেবমূর্তি... আমার স্কুলে কিছু বুদ্ধিস্ট ফ্রেন্ডস্ ছিল...তাই লর্ড বুদ্ধের মূর্তি আমার চেনা... কিন্তু ইনি অনেক টা লর্ড বুদ্ধের মতো হলেও বুদ্ধদেবের মধ্যে যে মানুষ মানুষ ব্যাপার টা আছে...সেটা এনার মধ্যে একেবারেই নেই...ইনি এক পরিপূর্ণ জ্যোতির্ময় দেবতা আমি বাহ্যজ্ঞান রহিত হয়ে পলকহীন চোখে চেয়ে রইলাম...আর অনুভব করলাম.. আমার প্রত্যেকটি ইন্দ্রিয় এখন এই দেবীর এবং দেবের নিয়ন্ত্রণে! "স্রোতস্বিনী... তুমি আমাদের সবার খুব প্রিয়... শুধু তার মতো পথভ্রষ্ট হোয়ো না... শিক্ষা দিও....শাস্তি নয়...দেবী 'কুরুকুল্লা' ও 'অবলোকিতেশ্বরের' শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো তোমার প্রতি..." এই কথার সাথে সাথেই এক হাতের পদ্মফুল টা আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন সেই অদ্ভুত দর্শন, মায়া ঘেরা, অপরূপা মহাদেবী! আবার সেই ভীষন ঘূর্ণন...এক অপ্রতিরোধ্য টানের সঙ্গে সঙ্গেই অনুভব করলাম... এবার আর উপরে নয়... আমি পাক খেতে খেতে এক অন্ধকার অতলে তলিয়ে যাচ্ছি... উফফফ্ মাগো!! কি দমবন্ধ করা অন্ধকার! আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে যে ...মা মাগো, তুমি কোথায় মা!! সেই ঘোর অন্ধকারে একটা আবছা মুখ যেন ফুটে উঠতে উঠতেই মিলিয়ে গেল...এক মানবীর মুখ...না না লীনা মল্লিকের মেকআপ লাগানো তীক্ষ্ণ মুখ তো নয় এটা...শান্ত স্নিগ্ধ খোলা চুলের এক স্নেহ মাখানো মুখশ্রীর, দেবী হতে চাওয়া এক মানবী... আমি মনে মনে অনুভব করতে পারলাম ইনি কোনো দেবী তো নয় ....মা বলতে কেন যে এই মুখ টা আমার মানসপটে ভেসে আমাকে সাহস দিয়ে গেল...সেটা বোঝার আগেই সেই প্রবল টান আর অন্ধকারের চেয়েও ঘন এক তমসা আমাকে নীচে.... আরো নীচে টেনে নিয়ে চললো... দূর থেকে কুকুরের ডাক ভেসে আসছে...কী এক অদ্ভূত নীলচে আলো তে পুরো জায়গাটা আলোকিত হয়ে আছে...এটা কোন জায়গা?!... আমার পায়ের নীচে একটা পিচ্ছিল অনূভূতি... নীচের দিকে তাকালাম.. আর আমার চোখ দুটো যেন আতঙ্কে স্থির হয়ে গেল ... আমার পায়ের নীচে রক্ত আর রক্ত... আমি যেন একটা চাপ চাপ রক্তের কাদা দিয়ে তৈরী কোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি.... এখানে ওখানে ইতস্ততঃ ছড়িয়ে আছে বেশ কিছু জন্তু জানোয়ারের মস্তকবিহীন মৃতদেহ... তাদের মধ্যে কুকুর,সাপ আর মিউলকে (ঘোড়া ও গাধার সংমিশ্রণে তৈরী প্রাণী ,চলিত বাংলায় যাকে খচ্চর বলে...ভালো বাংলায় অশ্বতর..) আমি চিনতে পারলাম... উঃ ভগবান....এই কি তবে নরক??!! এতক্ষণ স্বর্গগুলো তে ঘোরার পর...এত অপূর্ব দেবদেবীদের সংস্পর্শে আসার পর...শেষে আমার এখানে ঠাঁই হোলো??? আমার মাথার মধ্যে একটা কন্ঠ বেজে উঠলো... "এসো স্রোতস্বিনী.... তুমি এখন আন্ডারওয়ার্ল্ডে ....গডেস্ "হেকেটির" কাছে... যাও...উনি তোমার জন্য অপেক্ষায় আছেন...." কেন জানি না এক নিমেষে আমার ভয় উধাও হয়ে গেল... আমি নির্ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম...আর চলা শুরু করতেই আমার চারপাশে কোথা থেকে যেন সাত টা কুকুর আমার পথপ্রদর্শক হয়ে আমাকে নিয়ে চললো। কতক্ষন সেই প্রায় অন্ধকার টানেল দিয়ে হেঁটেছি জানি না...একসময় দেখলাম আলোয় ভরা একটা জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি...আর আমার সামনে তিনটে সিংহাসনে এক অপরূপা নারী.... না না ....এঁর শরীরের জ্যোতিই বলে দিচ্ছে ইনি অসামান্য শক্তি ধারিণী কোনো দেবী....(কি যেন নাম শুনলাম...'হেকেটি' ) তিনজন হয়ে বসে আছেন.... আমার চোখের সামনে এক বিদ্যুৎ ঝলসে উঠলো... আমি ভয়ে আমার চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম... কিন্তু সেই বন্ধ চোখ দিয়েই বুঝতে পারলাম বিদ্যুৎ চমকের সাথে সাথেই তিন জন দেবী একজন দেবীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। আর সেই মহাভয়ঙ্করী...মহাসুন্দরী আমার সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন... দেবীর অপরূপ মুখ কি যেন এক চিন্তায়... বেদনায় ম্লান.... গম্ভীর হয়ে আছে... "সার্সী...সে আমার বড়ো প্রিয় ছিল...অথচ তার কর্ম তাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে...তার সাথে আরো অনেক কে... তুমি চেষ্টা কোরো সবকিছু রক্ষা করার...তোমার ভালোবাসার শক্তি দিয়ে তুমি তার ক্ষমতার লোভের সাথে লড়াই কোরো... আমার শক্তি প্রয়োজন মতো তুমি পাবে..." বলতে বলতেই আমার মাথায় নিজের মাথা থেকে খুলে লরেল্ পাতা আর কয়েকটি গাছের শিকড় দিয়ে তৈরী মুকুট টা পরিয়ে দিলেন তিনি... আমার হঠাৎ খুব ইচ্ছে করলো... হাত দিয়ে ওনার বিশাল, করুণা ভরা চোখ দুটো দিয়ে গড়িয়ে পড়া জল টা মুছে দিতে...দেবী তো কি!! কষ্ট পাচ্ছেন তো... আমি হাত টা তুলে ওনার চোখের কাছে নিয়ে যেতেই ম্লান হাসলেন দেবী... "যাও সার্সী... তোমাকে অনেক চোখের জল মোছাতে হবে.." বলতে বলতেই মিলিয়ে যেতে লাগলেন সেই অপরূপা... আর প্রবল এক টানে আমি পাক খেতে খেতে উপরের দিকে উঠতে লাগলাম...আর সেই অবস্থাতেও আমার মনে হোলো...দেবী 'হেকেটি' আমাকে সার্সী বলে ডাকলেন কেন? "কি গো?? কেমন লাগলো?" আমি কি অচেতন হয়ে পড়েছিলাম...? হঠাৎ চমকে উঠলাম...আরেহ্ঃ!! আমি এখানে! কি করে? এ তো দিয়ার বাড়ির কাছে আমার সেই প্রিয় জায়গা টা... শুধু ঘাস গুলো আরো সবুজ...ভেলভেটি...লেকের জল আরো নীল আর অল্প অল্প ঢেউ খেলানো...চার দিকে এক অপূর্ব সুগন্ধ....শুধু লেকের শেষ প্রান্তে...হরাইজোনে আকাশ টা রঙ রক্তের মতো লাল...যেন কোনো যুদ্ধক্ষেত্র রক্ত নিয়ে হোলি খেলছে...নাকি যুদ্ধের প্রস্তুতির পূর্বাভাস !!!! আর এই গলা....এই স্বর... আমি জানি তো....যুগ যুগ ধরে শুনে আসছি... শুধু এই জন্মে সেদিন এই লেকের ধারেই তাকে প্রথম দেখেছি...আর তার কালো মায়ার আলো থেকে একটুখানি চুরি করে নিজের মনের কোনায় রেখে দিয়েছি অমৃত হিসাবে, "আমি কোথায় মা??" খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো আমার আলোয় ভরা কালো মা... "আমিও তো জানতে চাইছি... তোর কাছেই...আমরা কোথায়?? এই জায়গাটা তো তোর মনের মধ্যেই আছে...তুই ই তো আমায় এখানে নিয়ে এলি..." আমিও এবার হেসে উঠলাম, "তাহলে আমি যদি ইচ্ছে করি ... আর ফিরে যেতে না চাই...তুমি আর আমি এখানে সবসময় থাকতে পারি?" "আমার তো বাপু কাজ আছে অনেক... তোর মতো সমস্যায় পড়লেই আমার পালাতে ইচ্ছে করে না... তবে তুই ইচ্ছে করলেই এখানে থেকে যেতে পারিস। এই লেকে একটা নৌকা আসবে আর তোকে নিয়ে চলে যাবে" "কোথায়?" আমি একটা বাচ্চা মেয়ে হয়ে গেছি "দূরে" "সবাই খুব কষ্টে আছে, আমিও, দিয়া ও... আমি ফিরে ই যাই...মা,... তুমি... তোমরাও তো তাই চাও না...? তুমি আমার কাছে থাকবে তো?" "সবসময়......একটা কথা মনে রাখিস...যে ভিতর থেকে মৃত...তাকে দয়া করবি না...দয়া জীবিত দের করা হয়...আর ঘৃণার থেকে ভালোবাসার শক্তি বেশি...সবসময়" বলতে বলতেই আমার আলো মাখা কালো মা একটা হিবিসকাস ফুল নিয়ে আমার মাথায় আটকে দিলো, "তুমি তো এক্ষুণি মিলিয়ে যাবে...আমাকেও ফিরে যেতে হবে... তার আগে একটা কথা বলো না মা...আজ আমার সাথে যা যা হোলো সেটা কি সত্যি? না স্বপ্ন ? নাকি সব আমার মনের ভুল ?" যা হয়েছে ... সেগুলো সব তোর মনের মধ্যেই হয়েছে...স্বপ্ন ও বলতে পারিস... কিন্তু তার মানেই যে সেগুলো ভূল , তা তোকে কে বললো?" বলতে বলতেই মৃদু হাসির সাথে আমার আলো মাখা কালো মা, আমার শক্তি, আমার প্রেরণা, আমার অস্তিত্ব আর সেই মায়াবী সৌন্দর্য মাখা লেক আস্তে আস্তে মিলিয়ে যেতে শুরু করলো...
" ওই মেয়ে...ওই... উফফফ এই নতুন ফ্লেজলিং গুলো হাড় জ্বালিয়ে দেয় একেবারে...এত বিরক্তিকর!এদের এত কী করে ঘুম হয় কে জানে..." ঠকঠকঠক্ ডোরনকারের আওয়াজ আর বিরক্তি মাখা গলার চিৎকারে ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে বিছানায় উঠে বসলাম আমি।

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register