Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ১৫)

maro news
সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব - ১৫)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

পঞ্চদশ পর্ব

এই অনীতিকে আমার চেনা, এই গালা বেরিয়ে আসে তার, আর ঐ গলে গলে গড়িয়ে পড়ে ওরা, ওরা এবং তারা, সুক্ষ্ণতা দিয়ে ভাবলে আমিও। একদিন অ্যাকসিডেন্টের পর পড়ে থাকা নিথর হয়ে যায় এবং তারপর "সুক্ষিতিং বিশ্বমাভা" শরীর টুকুই সার পড়ে থাকে।
তাহলে তৃতীয় পর্বের কবিতায় কী হয়!
"একটি মেয়ে বসে থাকে একা / নদীর পরোয়া নেই / শুধুই সেতুর /
একটি পুরুষ বসে থাকে একা / সেতুর কামনা জুড়ে / নদীটির টিটেনাস।"
পুরুষ বা নারীটি শুধুই দৃশ্যের পার্থক্যে বিপরীত, নারী যে নদীই শুধু তা কেন ভাবা! আসলে কবিটিকে দর্শনার্থী হয়ে বাইরে থেকে দেখতে হয়, অর্থাৎ কবিতার ভিতরে বসে না থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে বিচারক হয়ে নিজের কবিতাকে দেখতে হয়। কবিতাকে Mythless হতে হয়, যেখান থেকে আবেগ তাড়না দেয় না লেখার জন্য, আর লেখা পায় না আঁশটে হলেই জল।
নীহার কবিতা ভাবনার একফোঁটা গভীর আর অনেক ফুট কুঁয়ো। কবিকে শ্রেষ্ঠ পাঠক হতে হয়। পড়তে হয় এক জায়গায় আর নিযুক্ত অন্য জায়গায় হতে হয়, যেখানে বসলে শুধুই আদর।
"যেখানে আমি পড়ি সেখানে পালক ফিরে আসে"
আসলে ঘটনা পেরিয়েই দূর্ঘটনার পরিমিতি কষে দেখতে হয়, নিজেই নিজের শ্রেষ্ঠ বিচারক হওয়া যায়। আর স্বয়ংসিদ্ধাকে শুধু একটা মেয়ে না ভেবে তার নামের অর্থটুকুও একআধবার চেপে ধরতে হয়।
মেঘেরা আলো পেলে একটা ব্লাড বের করে, ঝলসে দেওয়ার মতো, মেয়েরাও পারে আর কবিরাও পারে। আসলে স্তুপ থেকে স্তুতি আসে ঠিকই কিন্তু ওটাই কবিতার বিপথ, ওখান থেকে দুর্গন্ধ ছাড়া কিছুই বের হয় না।আর যে মেঘগুলো দেখতে দেখতেই মেঘালয় পৌঁছে যায়, তারা শুধু বিপদেই বিপথে যায়, তাদের স্তুতি লাগে না তারা নিজেরাই নিজেদের কবিতার ঈশ্বর হয়।
তৃতীয় পর্বের কবিতায় পাঠক কেবলমাত্র নিজে হলেও দুঃখ আসে না, ক্ষোভও আসে না, আসলে সেই ফিলিংসটাই তো লাগে না এই পর্বে। কিন্তু স্বাধীন এবং সাধ্যমতো বিচারাধীন।

ক্রমশ...

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register