- 19
- 0





তবে আমার আফসোস হয় কোরাল রেড কুকরি সাপ দেখতে না পাওয়ার জন্য। বেশ কয়েকবার মাত্র কয়েক মিনিটের জন্য সাপটির দেখা পাইনি। উজ্জ্বল কমলা রঙের এই সাপটি প্রত্যেক সর্পপ্রেমীর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। আশা করি ভবিষ্যতে দেখতে পাব কখনও।
সরীসৃপ বলতে আমাদের প্রথমেই সাপের কথা মনে পড়লেও সাপই একমাত্র সরীসৃপ নয়। তুলনামুলক ভাবে বিরল হলেও কচ্ছপও আমাদের পরিচিত সরীসৃপগুলির মধ্যেই আসে। পুন্ডিবাড়ি থেকে গাড়িতে ৩০-৪০ মিনিট গেলে পৌঁছান যায় বানেশ্বরে। স্থানীয় উপকথা অনুযায়ী অসুররাজ বান ছিলেন দেবাদিদেব শিবের ভক্ত। শিবকে পাতালে নিজের কাছে রাখার পণ নিয়েছিলেন কিন্তু ভুলবশত শিবলিঙ্গ যেখানে রেখে দিয়েছিলেন সেখান থেকে আর শিবকে সরানো যায়নি। সেই স্থানেই আজ বানেশ্বর শিব মন্দিরের অবস্থান। এই বানেশ্বর শিব মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ কিন্তু আদতে শিব নন। এই মন্দিরের মূল আকর্ষণ হল শিবমন্দির সংলগ্ন পুকুরের কচ্ছপেরা, যাদের স্থানীয় ভাষায় মোহন বলা হয়। ব্ল্যাক সফটশেল প্রজাতির এই কচ্ছপ ভীষণ বিরল। আইউসিএন রেডলিস্টে ইতিমধ্যেই এই কচ্ছপকে EW(Extinct in Wild) ক্যাটেগরিতে রাখা হয়। মন্দিরের বোর্ডে লেখা তথ্যানুযায়ী এই কচ্ছপ বা মোহনগুলির মধ্যে শতাধিক বছর পুরনো মোহনও আছে। তবে শুধু বানেশ্বরেই এই মোহন পাওয়া যায় সেরকম নয়। উত্তরপূর্ব ভারতের অনেক মন্দির সংলগ্ন পুকুরেই এই ব্ল্যাক সফটশেল কচ্ছপের দেখা মেলে। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অসমের হয়গ্রীব মাধব মন্দির। সেখানে এরা বোষ্টমি কচ্ছপ নামে পরিচিত। এছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রামেও দেখা যায়। সেখানে আবার মাজারি কচ্ছপ বলে ডাকা হয়ে থাকে এদের। এছাড়া কামাখ্যা মন্দিরের পাশে নীলাচল পাহাড়ে একটি মন্দিরসংলগ্ন পুকুরেও কয়েক বছর আগে এই কচ্ছপ পাওয়া গিয়েছে। আইউসিএন রেডলিস্টে ইডব্লিউ লিস্টে থাকলেও পরিবেশপ্রেমীদের উদ্যোগে আজকাল বন্য পরিবেশেও ব্ল্যাক সফটশেল কচ্ছপ খুজে পাওয়া গিয়েছে। কাজিরাঙ্গা জঙ্গলে একটি ক্ষুদ্র বন্য পপুলেশনের অস্তিত্ব জানা গিয়েছে।

0 Comments.