Fri 19 September 2025
Cluster Coding Blog

গল্পবাজে রিতা মিত্র

maro news
গল্পবাজে রিতা মিত্র

জবা

জবা । না জবা সিরিয়ালের কথা বলছি না। বলছি জবা ফুলের কথা। " মায়ের পায়ের জবা হয়ে উঠনা ফুটে মন" এই একটি লাইনের মাধ্যমে মা কালির সঙ্গে জবা ফুলের নিগুঢ় সম্পর্ক স্থাপন করেছে আপামর ভক্ত। আমিও এই ফুলের প্রেমে পড়েছি। তারও কারণ আছে। 2011 জানুয়ারি মাসে আমরা ওড়িশা রাজ্যের চাঁদিপুর ঘুরতে যাই। এই জায়গাটার বিষয়ে অনেকেই জানেন। এখানে উপগ্রহ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র রয়েছে। এটা ওড়িশার বালাসোর জেলার অন্তর্গত। এখানকার সমুদ্র দর্শন করা ভ্রমণের দৃষ্টিতে অন্য মাত্রা যোগ করে। পাড়ে এসে দাঁড়ালে সমুদ্র বহুদূর দেখা যায়। জোয়ারের সময় জল পাড়ের কাছে আসে তাতে আপনার পায়ের পাতা ভিজবে শুধু। ঢেউ নেই। স্নান করা দূরের কথা। কিছু ছেলেপিলেকে মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে সমুদ্র স্নানের আনন্দ নিতে দেখলাম। যাক জবা ফুলের কথায় ফিরে আসি। তা আমরা চাঁদিপুরে যে হোটেলে উঠেছিলাম তার সামনের বাগানে জবা ফুলের স্বর্গরাজ্য। এত রকমের, এত রঙের, এত ভিন্ন আকৃতির জবা আমি আগে কখনও দেখিনি। এখান থেকেই জবা ফুলের মোহে মোহিত হয়ে পড়ি। আজ আমার ব্যালকনি বারান্দায় বারো রকমের জবা গাছ আছে। ইদানীং ফেসবুকের দৌলতে অনেক কেই দেখি গাছ বিষয়ে লিখতে। জবা প্রেমিও অনেক আছেন। দুনিয়ার জবাফুল প্রেমিক লোক গ্রুপ তৈরি করেছে 'Hibiscus lover's বলে। আগে কিছু দেশিয় জবা গাছই আমরা চিনতাম। রং ও লাল, সাদা, বা গেরুয়া। কিন্তু এখন অনেক রঙের জবা গাছ পাওয়া যায়। কিছু দেশিয় কিছু বিদেশি বা হাইব্রিড। চাইনিজ জবা, অস্ট্রেলিয়ান জবা এই নামে হাইব্রিড জবা বাজারে বিক্রি হয়। নানান রঙের জবা, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। যদিও অনেকে বলেন জবা ফুল আমাদের দেশের ফুল নয়। এটা বিদেশ থেকেই আমাদের দেশে এসেছে। সে যাই হোক। জবা ফুল আমাদের ভালবাসা ও ভক্তির সমন্বয় নিয়ে আমাদের হৃদয়ে বাস করে ও করবে।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register