Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ২১)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ২১)

অনন্ত - অন্তরা 

কেমন যেন লাগছে মনটা উদাস হয়ে গেল চন্দ্রার আকুতি মিনতি আর আবদারের কথা শুনে শুনে – কত নিস্পাপ বাচ্চাটা কত মিষ্টি তার কথা আজ মল্লিকা বেঁচে থাকতো তাহলে ওর সুখের সীমা থাকতো না আর মায়ের বুকে মেয়ের নিশ্চিত ছায়াতল জীবন কতটা প্রশান্তির হতো ভাবাই যায় না- চাচা দেখে শুনে কত ভালো বিবাহ দিয়েছিলেন, বড় ঘর, শিক্ষিত, বাইরে থেকে দেখতে আভিজাত্যের কমতি ছিল না অথচ বিবাহের পর কতটা সারশূন্য আজ তার প্রমাণ বিদ্যমান । S.S.C পর বয়স তার ১৫; হল বাল্যবিবাহ, বিয়ের সময় কথা ছিল পড়া বন্ধ করা যাবে না এবং সে পড়ে H.S.C পরীক্ষা দিয়ে মাত্র টেনে পাস করেছিল যেখানে অতীত রেজাল্ট গোল্ডেন+, অসতর্কতার কারণে চন্দ্রার আগমন ঘটেছিল যখন মল্লিকা H.S.C দ্বিতীয় বর্ষে পড়ে, মায়ের অনুভবেই সে Abortion করতে চাইনি তার অনুভব কোল জুড়ে আসুক খিলখিল হাসুক সেই স্বপ্নে সে বিভোর ছিল । এখন চন্দ্রা আধোভাঙ্গা কথা বলে বয়স ৫+বছর । কী না করেছে মল্লিকার সাথে এহনো অত্যাচার যে তার স্বীকার হয়নি, যৌতুক মনে হয় প্রতি মাসের কিস্তি ছিল, মদ, মেয়ে নিয়ে ফুর্তি, এমনকি কাজের মেয়ে পর্যন্ত রেহাই পাইনি, পরিবারের সবাই তার কাছে জিন্মি ছিল । কতটা ধৈর্যের সাথে সে সবকিছু মেনে নিয়েছিল কোলে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ওর ভবিষ্যতের কথা ভেবে । কিন্তু যেদিন আমার দিকে ওর বর চোখ দিলো আমার উপর ঝাপিয়ে পড়লো সেইদিন মল্লিকা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মতো জ্বলে উঠেছিল, আমিও সেইদিন প্রথম চিনলাম মল্লিকা ও পুরুষ । তারপর কাল হলো সেই প্রতিবাদ- কালোছায়া ওর জীবনে ঘোর অন্ধকার হয়ে নেমে এলো ২৫শে মার্চ রাতে খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে হত্যা । প্রথমে ঘুমের ঔষধ তারপর বিষ প্রয়োগ তদন্ত প্রমানিত রায় ফাসি এবং কার্যকর । দুই পক্ষে টাকার খেলা দেখে হতভম্ব হয়েছিলাম আমি । তারপরও থাকং গড – বিচার পেয়েছিলাম আমরা । ধর্মের কল নাকি বাতাসে নড়ে এখন আর নড়ে না , ন্যায় বিচার পেতেও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিতে হয় অন্যায়ের কাছে মাথা নত করতে হয়, অন্যায়কে স্বীকৃতি দিয়েই ন্যায়ের স্বীকৃতি নিতে হয় । আইন প্রমাণ চায় সেই সাক্ষী প্রমাণ জোগাড় করা আবার বিক্রি হয়ে যাওয়ার আশংক্ষা, জীবন নাশের হুমকি, প্রভাবশালীদের চাপের মুখে টিকে থাকা সে এক নৈতিক স্খলনের বিচিত্র অভিজ্ঞতা । হায়রে পুরুষ- মানুষ হতে চেয়েছিলি আইনের সার্টিফিকেট নিয়ে!!!
DHL অফিসে ডুকে টোকন নম্বর নিয়ে বসে অপেক্ষায় আছি, ভাবছি নতুন সেটটা দিয়ে প্রথম কলটা কাকে দেব? নম্বর জানা থাকবে একটা conference কল করতাম- তার আগে মামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতাম SMS এর মাধ্যমে । সন্ধ্যা, অন্তরার সাথে খুনসুটি নতুন সেটে কী আওয়াজ ভেসে আসতো একজন চিরদিনের বন্ধু অন্যজন হৃদয়ের শুষ্কতা ভিজিয়ে দেওয়ার আ’জমন সঙ্গী । আমার টোকন নম্বর ১২৭ এখন আরো পাঁচজন পর আমার ডাক পড়বে । হ্যালো কে বলছেন? জ্বী মামা আচ্ছালামু আলাইকুম কেমন আছেন, হ্যাঁ আমি এসেছি অপেক্ষায় করছি , জ্বী – অল্প সময়ের মধ্যে হাতে পেয়ে যাব – আপনি চিন্তা করবেন না আমি হাতে পেয়ে আপনাকে SMS করে জানিয়ে দিব । জ্বী- জ্বী মামা – ওকে মামা ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ । কাউন্টারে ১২৭ ভেসে উঠলো আমি সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে তথ্য দিলাম এবং আইডি নম্বর মিলিয়ে আমাকে পার্সেলটা দিলো আমি নিয়ে খুলে চেক করে মিলিয়ে বেরিয়ে আসলাম এবং সাথে সাথে একটা SMS স্বীকার উক্তি ও কৃতজ্ঞতা লিখে পাঠিয়ে দিলাম । সেটটা ওখান থেকে চার্জ করে পাঠিয়ে ছিল বলে আমি আমার ন্যানো সিমটা লাগিয়ে সেট অন করলাম সেটিং করা ছিল তাই বাড়তি কোন সময় আমার নিতে হয় নাই। সোজা সন্ধ্যাকে কল করলাম – হ্যালো
এই কয় জায়গায় কল শেষে আমাকে এতো পরে কল করলি শুনি? কেন তোকে প্রথমে কল করতে হবে শুনি? নতুন সেট বন্ধু-বান্ধব আরও আছে না তাদের সাথে আজ আগভাগে কথা সেরে নিলাম– তোর সাথেতো সব সময় কথাই হবে তাই না?
এই তুই ফোন রাখ, আমার কাজ আছে যতসব, বাই।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register