Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ১৯)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ১৯)

অনন্ত - অন্তর

সভার সভাপতি মধ্যমনি তাজের মুকুট যার কপালে শ্রোতা মাত্র একজন কোটি নক্ষত্রের প্রতিনিধি কবিমহলে! কী অবজ্ঞা! ধ্যানে মনে যার কথা নিলাম বুকের মধ্যখানে;একাকগ্রতায় ভুলে গেলাম বাকিসব কী মোহে! তবু শ্রোতা হতে পারলাম কই? সুযোগ না দিয়ে ক্ষমতার বলে অবজ্ঞার সূচক রেখে গেল তোয়াক্কা না করে না যেচে মন চলে গেল নিজের কথা বলে!! হে মোর স্রষ্টা তুমি বলে দিও তারে আমি নিরুপায়;ফিরে আসিব তারই কুলে বারেবারে – শুভ রাত্রি – হ্যালো, জ্বী আমি অন্তরা- হ্যাঁ বলুন চাচা- জ্বী-জ্বী, আচ্ছা আপনাকে কষ্ট করে ওকে নিয়ে আসতে হবে না আমিই আসছি ।
রিং বেজে চলছে ধরার কেউ নেই- হঠাৎ ঐ পাশ থেকে আওয়াজ ভেসে আসলো, হ্যালো কে বলছেন? জ্বী আন্টি আমি অনন্ত – আপনি ভালো আছেন তো?
হ্যাঁ বাবা ভালো, তুমি কেমন আছো?
হ্যাঁ ভালো আছি-
বাবা অন্তরা তো ওয়াসরূমে একটু পরে কল করো-
না না আপনি ওকে একটু বলে দিবেন আমি আজ ইউনির্ভাসিটে যাব না-
ঠিক আছে বাবা ।, ভালো থেক ।
আপনিও ভালো থাকবেন-ফোনটা রেখে দিয়ে মনে মনে ভাবছি ওর মোবাইল কেন বন্ধ করে রেখেছে আজ? কি সমস্যা? এতো ফর্মালিটি মেইন্টেন করা কী কষ্টের উফ আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল!! শুধু ফোনটা অন করুক না তারপর দেখাচ্ছি মজা ।
দুই তিনবার কলিং বেল টিপতেই কাজের মেয়েটি দরজা খুলে দিলো আমি ভেতরে ডুকতেই পেছন থেকে হঠাৎ কেউ যেন জড়িয়ে ধরলো, আঁতকে উঠলাম, কচি হাতের পরশে বুঝতে বাকি রইল না চন্দ্রা ছাড়া অন্য কেউ নয়! ঘুরে ওকে বুকে জড়িয়ে একদিকে মাতৃত্বের স্বাদ অন্যদিকে জীবনের সুখে-দুঃখের একমাত্র পরম আত্মার আত্মীয় বন্ধু আমার তার গন্ধ পেতে লাগলাম, অশ্রুসিক্ত হয়ে গেলাম মনে পড়তেই, কোথায় হারিয়ে গেলি?কেন ফাঁকি দিয়ে চলে গেলি? নিঃস্ব করে এই আমাদের! এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে? চন্দ্রার চোখ জোড়া মুছে দিলাম ওর কচি হাতের আঙ্গুল দিয়ে আমার চোখ মুছে দেওয়ার চেষ্টা করলো । ওকে আদর করে বুকে জড়িয়ে ধরে বললাম মা তুমি কেমন আছো?
আমি ভালো আছি আদরমা-
তাহলে তুমি তোমার আদরের নানাকে এতো বিরক্ত কেন করছিলে মাগো?
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register