Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মনিরুল ইসলাম (পর্ব - ৭)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে মনিরুল ইসলাম (পর্ব - ৭)

হেরফের

-বডো মিঞা, নবাব আলির মেয়ের সাথে রিটুর ভান ভালোবাসা ছিল, সেটা নবাব আলি জানতা।আর এও জানত যে রিন্টু ওর মেয়েকে ঘড়ি,সাইকেল, মােবাইল এবং ইদের সময় জামা কাপড়, ও হাত খরচের টাকা দিত। -নবাব আলি এসব কি শুনছি। -বড়ো মিঞা এখানেই শেষ নয়, তারও আছে। -আবার কি ? -নবাব আলির মেয়ে রিন্টুর দেওয়া ফোন নিয়ে অন্য ছেলের সাথে ভাব ভালবাসা করছে।সেই কথা বলতে গেলে রিন্টুর সাথে নবাব আলির মেয়ের ঝামেলা শুরু হয়। -তারপর- -মেয়ের কথা শুনে সেদিন সকালে নবাব ও তার স্ত্রী ধারালো হেসো নিয়ে লোকজনের সামনে রিন্টুকে রাস্তায় তাড়িয়েছে। -নবাব আলি এসব কি সত্যি? চুপ করে বসে থাকলে চলবে না। -না- মানে বলছিলাম কি- -নবাব আলি অতাে আর হেরফের না করে সােজা-সাপটা উত্তর দাও। -হ্যা বড়ো মিঞা, মাস্টার যা বলেছে সব ঠিক। আমার ভুল হয়েছে লােক জানাজানি করা ।আসলে আমার মাথা ঠিক ছিল না, আর মেম্বার সাহেব বলল শালিস- -দেখাে নবাব এর মাঝে আমাকে টেনাে না, তােমরা রাস্তায় ঝামেলা করছিলে বলে আমি বললাম – -আচ্ছা যা হওয়ার হয়ে গেছে, এখন কি করা যাবে মেম্বার সাহেব ? -সব যখন মাস্টার বলল তখন এটাও মাস্টার বলুক। -মেম্বার সাহেব এটা তােমার রাগের কথা হল। -আচ্ছা মাস্টার তুমিই বল। -আমি সত্যটা সকলের সামনে তুলে ধরলাম। এখন তােমরা মুরুব্বিরা আছ সকলে মিলে একটা সিদ্ধান্ত নাও । আমি তােমাদের সিদ্ধান্তে একমত। -মােড়লেরা এ ওর কানে খুসখুস করে কিসব আলােচনা করল। তারপর সবাই মিলে বড়ো মিঞার উপর সিদ্ধান্ত টানার অনুমতি দিল। -আমার বিচারে দুজনেই কমবেশি অপরাধী, তাই এই বিচারের সিদ্ধান্ত আজ স্থগিত। আগামী বুধবার আমরা আবার সকলে এখানে বসে সিদ্ধান্ত নেব। আজকের মতাে শালিসি সভা এখানেই সমাপ্ত।
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register