কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে সুমন সাহা (গুচ্ছ কবিতা)
১| মনখারাপ ২০০৯, শনিবার
প্রেমিকার বিয়ের পরের দিন সন্ধ্যার মনখারাপ।
ভাবনার নুপুর গড়িয়ে যায় নদীতে,
ডুব সাঁতার মুগ্ধতা দেখাও।
কবিতা বসে থাকতে বলে বেড়াতে যায়, আলস্য
বসতে গিয়ে ঘুমায়---ঘুম থেকে জেগে দেখে
কপালে সিঁদুর, লাল রক্তজবা তোমার পড়শি।
২| হাসিমুখ ও ছুরি
হাসিমুখ ছুরিটাকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবেই ঘুরালো শ্যামলা ঘাড় - প্রেম, আপনি যাদের দেখে রাখার দায়িত্বে আছেন, দেখে রাইখেন!
সুরু চেইন পরা শ্যামলা হাসিমুখ মেয়েটি বাসা অবধি চলে গেলো---রাফখাতার শেষ পৃষ্ঠা কিছুটা জানালো - অবশিষ্টঃ
চলে যাচ্ছে বিকেল,
সন্ধ্যা জানালার পাশে অল্পসময় দাঁড়াও;
দেখেই চলে যাবো!
৩| রাঁধুনি ও আনন্দ বিষয়ক যাপন
পরিপক্ক হাত পরিকল্পনার কাছে
জানতে চায়,
আগামাথা না-বুঝতে চাওয়ার বোকামি!
ফলাফল বললো---
আমার বাগান। সাকুল্যে নিজের,
সাফল্য না-আসলেও
আনন্দ নিয়ে
বাড়ি ফিরে যাবো রাঁধুনি!
৪| কবুতর ছোঁয়ার প্রাক্কালে এলোমেলো ঘুঘু!
অস্থিরতা হাসছে। মুখ দেখাও আড়াল।
তোমাদের
দেড়তলা বাসার ছাদ---
বিকেলের চেনাজানা।
সেখানে---যেখানে কবুতর ঢাকা থাকে
সবুজ ওড়নায়! মন উড়াল দেবার ঘটনা ঘটায়।
জায়গা খুঁজে,
সেখান থেকো নেমো…
বিকেল খুলে পড়তে বসতে--- ঘুঘুও রাজি!
৫| বিয়ের রাত্রি, শীতকাল
আরাধ্য শীতকাল গরম পোশাক বিছিয়ে ঘুমাচ্ছে; ঝিমাচ্ছে কচুরিফুল, দূর থেকে দেখা---১টা হ্যাজাক বাতি আর ১টা আলো পাশে বসে আছে সেজেগুজে।
'তুমি আমার; তুমি আমার' বলে একদল কুয়াশা মফস্বল শহরের দিকে ঢুকে যাচ্ছে! যাক...
'ভালো থেকো, সুখে থেকো' শিরোনামের গল্প লিখতে গিয়ে বিয়ের রাত্রি... 'সে নেই---সে নেই' বলে সানাই বাজিয়ে যাচ্ছে!
0 Comments.