Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ৮)

maro news
কর্ণফুলির গল্প বলা সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে সৈয়দ মিজানুর রহমান (পর্ব - ৮)

অনন্ত - অন্তরা 

চুপ হতেই শব্দের সাথে হারিয়ে যেতে লাগলাম অন্তরে অন্তরার মাঝে বারবার তার ঐ অপ্রিয় সত্য কথাগুলি তীর হয়ে বিঁধে যেতে লাগলো দামামা হয়ে প্রতিধ্বনি হল বারবার নৈতিকতা, সততা, বিশ্বাস, বিশ্বস্ততা, দায়ভার, প্রেম-ভালবাসা-স্নেহ-মমতায় শ্রদ্ধা যদি সম্পর্কিত না হয় কিভাবে অর্জিত সব টেকসই হয়? প্রযুক্তি কল্যানের কল্যাণ অকল্যাণের সংযুক্ত জালে, বায়ুমন্ডল থেকে যেভাবে আমরা বাঁচার জন্য অক্সিজেন গ্রহন করি তদ্রুপ কল্যাণটুকু নিয়ে জীবনের কল্যানে শিরা-উপশিরায় ছড়িয়ে দেওয়ার বিপ্লব ঘটাতে হবে জনমনে । মানুষের অনুভূতি নিয়ে খেলা একটি জীবনকে নীল কারাগারে বন্ধী করা মুখোশের আড়ালে বাটিক চাঁদরে মোড়া রঙে যে সে কাঁচা অশ্রুজলে যায় ধুয়ে ধুয়ে । হঠাৎ শব্দ বন্ধ হয়ে গেল অনন্ত ডাক ভেসে আসলো- বলো নামতে হবে ।
অনন্ত- এই অনন্ত কী হলো তোর- যাবি না ?
চলে আসছি ?
হ্যাঁ- তাড়াতাড়ি নেমে পড়, রাত হবে ফিরতে অনেক সে খেয়াল আছে তোর ?
রাত হলে কী হবে আমি আছি না ?
ইস্‌ আমি মনে তোর ঘরের বউ? কারোর কাছে কৈফিয়ত দেওয়া লাগবে না তাই মনে হয় বুঝি ?
কেন আমার প্রতি বিশ্বাস নাই ?
আমার তো আছে বোকা – বাবা মা কী খুব বেশী নিশ্চিত থাকতে পারে? কত রকম বিপদ ঘটতে পারে- যে দিনকাল পড়েছে তুই নিজে বুঝিস না – শেষ পর্যন্ত আমাকে বাঁচাতে তুই মরে যাবি সেটা আমিও চাই না – হি হি হি – বাদ দে এইসব চল যাই উপরে ।
টুকটুক করে মৃদ পায়ে দু’জনে লিফ্‌টে চড়ে উপরে উঠলাম চোখ জুড়িয়ে গেল সিমসাম পরিবেশ দেখে বেশ নতুনত্বের সমাহার । বললাম কী খাবি বল?
তোর যদি সমস্যা না থাকে চল আমরা আজ সি-ফুড খাই-
শাহাজাদীর আদেশ শিরোধার্য –
কী বললি- আগেতো কখন এই কথা শুনিনি ! বেশ ভালো বললি রে !!
দু’জনে মিলে অর্ডার করলাম তারপর আমি উঠে গিয়ে একটা সে-ই কেকের অর্ডার দিয়ে এসে চুপচাপ বসে রইলাম আর ভাবছিলাম রিয়্যাকশনটা কিভাবে ফেস করবো! কিছুক্ষণ পর ফলের জুস সঙ্গে বরফকুচি দিয়ে সাজানো সৌন্দর্যে গ্লাস দু’টি বেশ রোমাটিক লাগছিল- দেখে পিপাসা ধুম করে আরো বেড়ে গেল! সন্ধ্যা ইশারা দিতেই আমি হাতে নিয়ে নিলাম গ্লাসটি, স্ট্রটি মুখে দিয়ে টান দিতেই বাঁশির সুরে সুরেলা রসে গলা ভিজে তৃপ্তি বোধ হতে লাগলো । এরমধ্যে ওয়েটার কেক নিয়ে আমাদের দিকে আসছে, আমি অন্যদিকে তাকিয়ে মনের সুখে টেনে যাচ্ছি যদিও কান পেতে আছি ওয়েটার আর গুন্ডির দিকে । বুঝতে পারছি টেবিলে কেকটা যখন রাখছিল ঠিক তখন-
Excuse me - আপনি কোন ভুল করছে না তো?
কেন ম্যাডাম? আমি ঠিকই করছি কারণ ভাইয়া অর্ডারটা করেছিলেন । ভাইয়া --জন্মদিনের কেকটা কেমন হয়েছে দেখুন আর হ্যাপি বার্থডে বলুন আমরাও অপেক্ষায় আছি ।
অনন্ত তোর তাহলে মনে ছিল বুঝি? কী এক মিষ্টি হাসিতে ঝরে পড়লো অজানা অধিকারে চোখ দু’টি ছলছল করছিল আবেগে আপ্লুত হয়ে আনন্দ ধারার ।আমি নির্বাক অপলক দৃষ্টিতে ঢোক গিলে গিলে দেখছিলাম সেই প্রেমময়,,,

চলবে

Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register