- 16
- 0
পুরুষ মানুষ খেটেখুটে এসে জামা-ফতুয়া ছেড়ে দু'দন্ড বসতে না বসতেই ম্যাজিক! পকেট থেকে সব খুচরো পয়সা হাপিস। তেমন সুযোগ পেলে নোট ও উবে যেত চোখের নিমেষে। তারপর মানুষটা যখন পকেট হাতড়ে বেড়াচ্ছে তখন বউএর মুখে ফিচেল হাসি। আর ওই খুচরো হাসির চক্কোরে পড়ে চিরকাল খুচরো পয়সা খুইয়েছে পুরুষ। অবশ্য এ হারানোর আনন্দ বুকপকেটে গুঁজে রাখা নামের আদ্যক্ষর লেখা সাদা রুমালের ভাঁজে ভালবাসার আতরের চেয়েও সুগন্ধি। এ যেন "হারিয়ে পাওয়া আলোটিরে নাচায় ডালে ফিরে ফিরে ঝুমকোফুলের লতা"।
তবে সবকিছু এত সহজ ছিল না। আসলে সূর্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবী যেমন নিজেও পাক খায় তেমনি ঘটের ওয়ান ওয়ে পথ কে দুরাচারী ছেলে মেয়ে ট্রাফিক পুলিশের অনবধানে উভমুখী করে তুলত সময় সময়। কাঠি, চিমটে, সন্না দিয়ে আদরে আবদারে বেরিয়ে আসত কয়েন, নোট। 'মস্তি' শব্দটি তখনও বাংলা ভাষায় অনুপ্রবেশ ঘটায়নি, ফলত কিঞ্চিৎ লজেন্স, চানাচুর সেবন অথবা ঘুড়ি, রবারের বল প্রভৃতি জরুরি কেনাকাটার মতো মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যয় হত সেই ব্যাঙের আধুলি।
0 Comments.