Thu 18 September 2025
Cluster Coding Blog

কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে ওবায়েদ আকাশ (গুচ্ছ কবিতা)

maro news
কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে ওবায়েদ আকাশ (গুচ্ছ কবিতা)

১| লিঙ্গবিবেচনা

বিভাব, ভোরবেলার বাজার থেকে ফিরছে - একটি বাচাল প্যাকেটের মুখে লাগানো রয়েছে স্কচটেপ
বড্ড বেশি নড়ে উঠছে মুখ দুহাত দিয়ে চেপে ধরতেই হড়হড় করে বেরিয়ে এলো স্ত্রীবাচক ছায়া কেউ বলে মেয়েমানুষের মুখ
বিভাব, মাটির পাত্রে কিছু জল রেখেছিলো গলগল করে গিলে ফেলল কিছু সুপুরুষের বুক
ব্যাগ থেকে বেরিয়ে পড়া মাছ কোনটা পুরুষ কিংবা কোনটা শুশ্রূষাকারিণী বোঝাই গেল না। ফলে নানান বরণ মাছ; মাছেদের ধারণাসূত্রে - বিভাব - প্রতিটি মাছের বিপরীতে - দাঁড়িয়েছিলো অনর্থ লিঙ্গ বিবেচনায়
তাকে কামার্ত করেছিলো - জলের তরঙ্গ বাতাস

২| বাবা, সভ্যতা ও সম্পর্কের দ্যুতি

আমরা তিন ভাই - সবাই শহরে থাকি আমরা তিন ভাই - পরস্পর দূরত্ব ও নৈকট্য ধরে রাখি
আমাদের বাবা সেই ঘাসের শিশিরেই মুক্তো গুনে গেলেন আমাদের বাবা আশিকে ডিঙিয়ে গেলেন
আজকাল বাড়িতে গেলে প্রায়শই দেখি বারান্দার চেয়ারে বসে বাবা মুখে হাত দিয়ে কী যেন ভাবেন
বাড়িতে গেলে, বিশেষত আমাকে কিংবা আর ভাইকে দেখে কী যে হুলস্থুল কাণ্ড ঘটিয়ে দেন! একে - ওকে ডেকে আর একটা চেয়ার দিতে বলেন ডাব কেটে দিতে বলেন, তালপাখার বাতাস দিতে বলেন
পারলে নিজের চেয়ার ছেড়ে শহুরে ছেলেকে বসতে দেন!
আর আমার চোখ ছলছল করে জলে ভরে ওঠে
আমি বাবাকে বুঝতে দেই না তা। ফোলা ফোলা চোখে ঘরে ঢুকে যাই!
আর মনে মনে ভাবি সভ্যতার এই গাণিতিক বাড় না বাড়লে এই চেয়ার কিংবা শহরের জন্মই হতো না কোনো দিন
আর এই প্রথম আমি সভ্যতাকে অভিশাপ দিয়ে বসি! প্রায় সারারাত নির্ঘুম থেকে, ভোর হলে মনে মনে এও ভাবি আহা সভ্যতা, ক্রমশ জিরাফের মতো গ্রীবা না তুললে আমাদের সম্পর্কের এই বিশুদ্ধ দেহটা হাঁটতে হাঁটতে একদিন আঙুলে জড়িয়ে যেতো
Admin

Admin

 

0 Comments.

leave a comment

You must login to post a comment. Already Member Login | New Register