ক্যাফে গল্পে দেবারতি চন্দ রায়

ইয়ে, মানে চারিদিকের পরিস্থিতিতে ইয়ে থাকতে ইয়ে মানে নিয়ম মেনে চলে এখন পর্যন্ততো ভালোই আছি। সেই মতো চলতে গিয়ে তার প্রথম ইয়ে মানে নিয়মমতো মাস্কটা পরে নেই সকালে উঠেই তারপর একটু পরপর হাত ধোয়াতো আছেই। কিন্তু এতে একমাত্র ইয়ে মানে সমস্যা হলো আমার ওই ইয়েটা মানে চশমাটা। কারণ এটা ওই ইয়েটার সঙ্গে পড়লে, শ্বাস ফেলার সাথেসাথেই দেখি ইয়ের কাঁচটা কেমন ইয়ে হয়ে যায়। সেদিনতো, ইয়েতে গিয়ে ঝাপসা কাঁচে দেখে ধরে বেছে পোকাধরা ফুটো বেগুন, করলা, পটল ইয়েসব নিয়ে এসেছি। বাড়ি ফিরে সব ধুয়ে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রেখে, স্নান সেরে বেরিয়ে দেখি ইয়ে মানে বারোটা বেজে গেছে। তাড়াহুড়ো করে রান্না ঘরে গেছি। গিয়েই মনে হলো এই যা, তাড়াহুড়োতেকি ইয়েটা নাপরেই চলে এসেছি!
ইয়েটা আনতে গিয়ে খুঁজতে খুঁজতে ইয়ে মানে ঘর ওলটপালট করে গরমে, চিন্তায় ঘেমে নেয়ে নাজেহাল অবস্থা। ঠিক তখনই কানের পাশে সুরসুরি দিয়ে নাকের ডগা বেয়ে চশমাটা টুপকরে পিছলে পড়লো আমার পায়ের উপর। তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে পা-ঝাড়া দিয়ে ফেলতেই দেখলাম ওটার ইয়েটা ততক্ষণে ভেঙে গেছে। হায়! তার মানে এই ইয়েটা মানে চশমাটানা এতো সময় ধরে আমি পরেই ছিলাম! শুধু ঝাপসা ছিলো বলেই চোখের সামনে থাকলেও উপস্থিতিটা বুঝতে পারিনি! তবে ইয়ে বলছিলাম কিযে সেদিন ভাঙ্গা চশমার ঝাপসা কাঁচে রান্নার দেরিতে খিদের জ্বালা, বুঝিয়ে দিল জীবনে লক-ডাউনের যন্ত্রনা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।