T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় দীপিতা চ্যাটার্জী
by
·
Published
· Updated
যখন এসেছিলে
দাড়িওয়ালা মানুষটার ছবি দেখে ,একবার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ইনি কে?
উত্তর এসেছিল- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
পাঠ্য পুস্তকে নানান ভাবে পড়েছি ওনাকে, জেনেছি।
বুকসেলফে রাখা বইটার দিকে নজর ছিল অনেকদিনই!
শুধু সময়ের অপেক্ষা –
হাতে এলো সুরের সম্ভার লেখার খনি, ‘গীতবিতান’।
হারমোনিয়ামে সুর তোলা আর রবীন্দ্র নৃত্যে ভেসে যাওয়াই যেন এই রাজত্বে নিজেকে রাজা ভাবার রসদ হলো!
বাবার আবৃত্তি আর মায়ের গান শুনে কেটে যায় ছোটবেলা-এখন পুরানো সেই দিনের কথা।
নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ শুনতে শুনতে অনেক স্বপ্ন দেখেছি,
আর কৃষ্ণকলি অজান্তেই কখন যেন কল্পনার রাজকন্যে হয়ে গেছে,
নিত্যসঙ্গী রূপে সবসময় ছিল রবিঠাকুর
জীবনের সব আশা যাওয়ার মাঝে রসবোধের উপলব্ধি গুলো সুরের বাঁধনে আজ ও অটুট
পুরাতন স্মৃতি আর নতুনের আগমনে আজও প্রাণিত সমাজ
প্রেম ভালোবাসা যে প্রকৃতি আর উপাসনার সাথে একাত্ম সেই রূপও স্পষ্টত
তাই বিশ্ববিনার সপ্তকে স্থল ,জল ,নভতল ,গিরি ,গুহা আজ একই সুরে বাঁধা।
কোনো মানা না মেনেই একান্তে গুনগুনানো যায়,
জীবনের রোজনামচায় গানের প্রতিটি শব্দ ভালো থাকার অঙ্গীকার স্বরূপ।