T3 ।। কবিতা পার্বণ ।। বিশেষ সংখ্যায় দীপক বেরা

শীতকাহন

শীতের কাঁচামিঠে রোদরঙ ভোর
নিঃশব্দে বাঁচিয়ে রাখে সব সম্ভাবনা
দূরের আতিথ্যে বেঁচে থাকে
ছুঁয়ে থাকা অতীত, মুছে যাওয়া শ্লেষ…
রোদপোহানো সােনালী ডানার সংলাপ
সূর্যের হাসি খেলে যায় মধ্যগগনে
পৃথিবীটা ঘুরছে, মানে আমরাও ঘুরছি
মাটির স্তনের মুখে মুখ রেখে শীতদুপুরে
দূর আলপথে সাদা সাদা বকেদের আদর
আর পাকা ধানের ঘ্রাণের মত ভালােবাসা
ঘাসপাতার মােলায়েম দিনগুলিৱ বর্ণমালায়
ছড়িয়ে দিয়ে উজাড় করি নিজেকে
পাতার গভীর খোলায় গর্ভবতী ধানের
অহংকার নিয়ে ডুবে যাই রোদের মৌতাতে
এভাবেই বড় হয় আমাদের জৈবিক স্বপ্ন
কিংবা, কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের ফসল!
এমনই সব শীতকাহন নিয়ে
ক্রমশ সন্ধ্যা নামে শামুকখোলার গ্রামে
তখন জ্যোৎস্নার নীল ডানায়
ফুলকি আগুন মাখে পাগল হাওয়া
আগুন লাগে হিমেল শরীর-মনে
মােমের মত গলে গলে পড়ি নির্জনে
হে প্রিয়া, ফিরে এসাে এই সাঁঝবেলা
হাতের মােমবাতি অকস্মাৎ নিভে যাবে জানি
গাঢ় অন্ধকার নেমে আসার আগেই
বাঁচাতে চাই সান্নিধ্যের আঁচ
ঝলসে নিতে চাই নিজের শরীর
বিষণ্ণতায় ধোঁয়াশার মেঘ হয়ে উড়ে যাব..
কথার খেলাপ হলে মেঘও সন্ত্রাসবাদী হয়
উষ্ণতার নিয়ম-নীতি ভাঙলে—
বরফজমাট হিমবাহও মহাপ্লাবন হবে একদিন!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।