কবিতা গুচ্ছতে চিরঞ্জীব হালদার

উপকথা

দুঃস্বপ্নে দেখা নারীকে নিয়ে কবিতা লেখা ঠিক কিনা জাঁহাপনাকে জিজ্ঞেস করবো।
তিনি এই মূহুর্তে মৃত্যু উত্তর কফিন প্রস্তুতের দেখভালে ব্যস্ত।
ঘটনাচক্রে সেই নারীটি ওই প্রস্তাবিত কফিনের আকৃতি।

আপনি আমাকে গাধা ঠাওরাতে পারেন।
নিদেনপক্ষে উল্লুক বা বব্বর অন্ধ পেঁচা ভাবুন ক্ষতি নেই।
আসলে স্বপ্নকে জ্যামিতি দিয়ে মাপার কৌশল
কিভাবে রপ্ত করতে হয় জানা নেই।
যেখানে কোন টক জাতীয় গাছের নিচে
পিথাগোরাসের প্রেতাত্মা কোন এক মেয়ের রূপ ধরে তোমাকে প্রশ্ন করতে পারে
কফিন কেন ত্রিভূজ আকৃতির নয়।
কেন সমস্ত জাঁহাপনা কফিন প্রস্তুতকারকদের
তাজমহল কথিত কারিগরদের মতো অন্ধ কূপে ঠেলে দেবেন।
নারী শরীরের ঠিক কোন অঙ্গের বাজারদর ভঙ্গিল
পর্বতের মতো
যেখান রেশম শিল্পীরা রাতের পর রাত উপকথা বানায়।

আত্মগোপন

‘নর’ শব্দের ধাতুরূপ এখনও আয়ত্ব করতে পারিনি।
আর যাই হোক কবরখানার প্রহরী হতে রাজি তবে
মেঘদূত পড়তে বলোনা।
সুযোগ পেলে ডিরোজিও সাহেবের কাছে বাজার না করার সুফল জেনে নেবো।

স্বপ্নঘোড়ার মত জিভ ফসকে পালিয়ে যাচ্ছে দন্ত-স আর তালব্য-শ র মত আদপ না শেখা জমিদারী বর্ণমালা।
খনাদিদিমনি আর বরাহবাবার ফাই-ফরমায়েস খাটনেওয়ালা এই আমির পেটকাপড়ে দিনগুজরান।
অ্যরিস্টটলের নাতির হিজিবিজি চিঠি
রগুড়ে ডাকপিয়নটা আমার ভুল ঠিকানায়
দিয়ে গেলে কি করনীয়।।
ওরা তো জানে আকাশজাত অন্ধকার আর নর শব্দের ধাতুরূপ কিভাবে বাগে আনতে হয়।

আমার স্ট্রিম অফ কনশাসনেসের ভেতর এক পটলচেরা দিদিমনি কেমন ঘাই দিচ্ছে।
মগজজুড়ে ধাতব ঘন্টা সেই কখন থেকে হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকে পড়ছে দলছুট শষ্যদপ্তরে।
আঃ জিশু বলেদিন আপনার ক্রুশকাঠের পিছনে
লুকানো যাবে কিনা।

সাড়ে তিন হাত ভালোমানুষের কবিতা

ভালো মানুষদের উপর গবেষণা করতে গিয়ে
সাড়ে তিন কেজি গোবরের দরকার পড়লো।
কোন সহকারী ছাড়া এক বেল ও ব্রেকভাঙা
বাইসাইকেলে চড়াই আমার নিয়তি।

খড় থেকে খাদ্যের বাইপ্রোডাক্ট এর সাথে যুক্ত
তিনজনের সাথে দেখা।
একজন গোবর গ্যাসের ধান্ধাবাজ দালাল।
একজন মাঝপথে প্রেমিকাকে রেখে সাড়ে তিনমন দুধে কতটা গর্ত খোঁড়ার এনার্জি ট্রাইসেপ নিতে পারে তার হালহকিকত জানতে ভালোমানুষের মুখোসে রাধার সাথে উপরি প্রেমে মসগুল।
আর একজন কোন সুবিধাজনক কাজ না পেয়ে ইট পেতে আয়ান ঘোষের তল্পীবাহক হবে বলে রিহার্সালে ব্যস্ত।

আমার বাইসাইকেলের টায়ার ফুটো।
আধভাঙা হ্যান্ডেল।
অথচ সবাই এই অপরিমেয় দ্বিচক্রযানটিকে
দুগ্ধবহনের উৎকৃষ্ট মাধ্যমে ভেবে গোয়ালাকুল উহুকারী ঝঞ্ঝাটে এই বুঝি আর এক যদুযুদ্ধ শুরু করলো বলে।
এই অবসরে মুফতে পাওয়া সাড়ে তিন আয়তনের বাইপ্রোডাক্ট মাথায় ভরে নেবো কিনা ভাবতে থাকি।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।