প্রহর যাজন করে ফিরে যাচ্ছে কাম
গম্ভীরা উচু দন্ত ঝুম ঝুম নাগ
মৃত্তিকার কোষে কোষে স্বপ্ন জায়ফল
হৃদয় সুখের হলে দেহদৈব ভাব
এই যে আনত রীতি সীমান্তে প্রহরা
বংশ জুড়ে বৃদ্ধিজাত যোদ্ধা মগজ নাল
ক্ষয় স্বর ওৎ পাতে অতি স্বাভাবিক
অতিথি নিজেই রাঁধেন নিখোঁজ করতাল
নিজ ঘরে ফুল সাজ আলো বেদরদী
প্রহর যাজন করে কিরে যান বোধি
ঘাতক ট্রামটা ঠায় রয়েছে দাঁড়িয়ে
ঠেলা দাও কাতুকুতু ড্রাইভার যদি
জাদু দাও আর দাও নাবালক ঋণ
রিপু দাও শংসা দাও দাও ম্লেচ্ছ্ব রীতি
আর দাও ঘটমান ক্ষত কুলাঙ্গার
চিতা শেষে তিনি দেখি দ্বিতীয় অদিতি
২| শেষ অক্ষের কবিতা
এই যে সাতান্নটা মশলা দিয়ে তুমি তৌরি তার সবটাই ভুলভাল।
এক কপট ঝোরা আর খেঁকশিয়াল সারাক্ষন
গুলতানির শব্দে মেঘেদের সাথে লেপ্টে থাকে।
আটান্ন নম্বরে এক ফ্রেঞ্চকাটা হোমিও বান্ধব।
বায়ুপুরাণের পঞ্চম পাতায় তার সাংকেতিক ক্রিয়াকর্ম।যখনই দেখি তিনি অশৈচ আলোক শোধনে আমলকি শাখার মত স্থির।
এখানে যে নোঙর করবো সে সময় আর হলুনি।
ষাট নম্বর সবুজ রঙের এক দরজা।তার না আছে হুড়কো। না তার ডাঁসা। । তো সেই ডাঁসা নাকি তিল ক্ষেতে মৌমাছি দের সাথে রামধনুর অক্ষপথে।ভাবতে থাকি টোকা দেবো কি দেবো না।
পাটাতনে শুয়ে আছে এক শ্বেত তক্ষক।
জিজ্ঞেস করল আধার কার্ডে নয় সংখ্যার
অবস্থান কোথায়।
হে আমার অপরা চোখের ফুলকারি মোহ
আমি কেন নয় কে আজও সনাক্ত করতে পারছিনা।
আপনি নিউমোনিয়া আক্রান্ত।চাঁদ আপনার উপর
নজরদারী করতে করতে গ্রহন বলয়ে জ্যোৎস্নার
মহিমা বিলোচ্ছে।আর যাই করুন প্রেমের ব্যাপারে
গ্রীস আর একটু সতর্ক হতে পারতো।
এই তিন বাক্যের মধ্যে সৌহাদ্য স্থাপন করতে গিয়ে
আর্কিমিডিসের সূত্র ফলো করতে করতে ভার্চুয়াল
তৃষ্ণার ছবি আঁকতে চাইলে কতজন ফেরেব্বাজ
ঝানু গোয়েন্দার শরণাপন্ন হতে হবে ভেবে দেখেছেন।আপনি একটুও বিশ্বস্ত নন। তার উপর ঢ্যাঙা চলনের ধেড়ে খচ্চর।তবে কথা বললে কীভাবে যেন রং-বেরঙের প্রজাপতি আপনার চারপাশে জড়ো হয়। আপনি নাকি পেশাদার প্রেমিক।
যে উঁচু পাঁচিল ঘেরা বাড়ির খোঁজ করছিলেন এখানে ফ্রয়েড অনেক কাল থাকবেন না।যে
ট্যাবলেট আপনাকে নিশি ডাক থেকে বাঁচায় সেই কারখানার দারোয়ানের একমাত্র সুন্দরী কন্যা
আপনাকে চিঠি লেখে।আপনার নগরভ্রমণে যে এঁড়েল ব্যরিষ্টার সঙ্গ দেন সে আসলে আইন দেউলিয়াদের স্তাবক।
প্রতিটি প্রেমের পর এক একটি দামী শবাধার
আপনাকে কারা ভেট পাঠায়।ভেবে দেখুন সেই সব মহানুভবের প্রতি কী ভাবে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন
করবেন।