Category: শিকড়ের সন্ধানে

প্রত্যয় ধীরে ধীরে চাঁদ ডুবে গেল– বোঝাই গেল না চাঁদের অন্তর্ধান এমনি এমনি অন্তর্হিত না হলে জমে যায় না আকাশ, তারার উৎসবের অবকাশে আকাশ গঙ্গা স্বপ্ন দেখে- সেই স্বপ্নিল আকাশ চাঁদ থাকলে বিষাদে ভরে...

একটি স্বাভাবিক কবিতা ভালো রাখার শর্তে সব কিছু তুলে দিয়ছিলাম তোমার হাতে, দু’হাত ভরে নিয়েওছিলে তা। হাতের কাঁপুনিটা তখন টের পাইনি, পেলাম যখন,সব কিছু নিঃশেষ। নীচের বালি কখন গেছে সরে রয়ে গেছে শুধু জলে...

বাটি সাবানের মেয়েরা দুশ্চিন্তার গর্ভে কান্নার পোড়োবাড়িতে শ্যাওলা গজানো যন্ত্রণার দুর্বিষহ বন৷ আপাত মনে ‘লক্ষ্মী’ বলে আদর করলেও মনের খালুইয়ে ‘কার্তিকের’ সাধ খুঁজে বেড়ায়… তামাটে চুলের রুখু চেহারার যে মেয়েরা সংসার বা গেরস্থকে খালি...

বাড়ী জানো , প্রত্যেকেরই একটা নিজের বাড়ি থাকে, এক্কেবারে নিজের…. যেখানে সূর্য ওঠে,  আবার অস্তও যায়। অধীর আগ্রহে কেউ অপেক্ষায় থাকে, ভালোবাসা মোড়কে ভাগ করে নেয় – দুমুঠো খাবার, ইচ্ছা গুলোকে বিসর্জন দেয় বাড়িটাকে...

দেখেছিলাম তোমায় মেঘের বাড়ীদের পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় দিগন্ত জুড়ে প্রতীক্ষার আলো জ্বালিয়ে , এ শহরের বুকে তৃষ্ণার্ত ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম । ট্রেনের পথের বাঁকে বাঁকে খুঁজছিলাম নিজেকে সেই এক ঝড়ের রাতে যেমনটি হারিয়েছিলাম-...

কেষ্ট, কুটির শিল্প এবং কলা পর্ব ১৮ প্রথম একজন সফল শিল্পপতিকে দেখি অটোয়, আমার পাশে। ভাবা যায়? আসলে পৃথিবীর সমস্ত বড় বড় ব্যাপারগুলোই এইরকম এলেবেলে ভাবে ঘটে আর তাই ঘটার সময় আমরা বুঝতেই পারি...

সূর্য সেতুর খোঁজে গলিত চাঁদের জল শনের ঝাড়ে ডিঙ্গা ডাহুকের বনে ভুটান স্রোতের ধারা।চরতোর্সা মৃতা কুমারী। শালকুমারের ছায়া গ্রাম একরত্তি মৃতা কুমারীর প্রসবের শতশত পাথুরে সন্তান কেমন হা বুকে মুখে পড়ে আছে দেখ্ চিকচিকে...

প্রেত যোনি পদ্মের পাপড়ি দেখতে পাও গর্ভগৃহের মুখে ওল্টানো ঝিনুক দেখে থমকে যাও প্রত্যেকবার,হাসো আপনমনে খলখল সিঁদুরের স্রোতে ভয় পাও না? হাসতে হাসতে তবে ডিঙোচ্ছি মন্তরপড়া গাছ এবার কামিনী দ‍্যাখো,সামান্য ফুল থেকে নারী নয়,নারী...

যা কিছু গোপনীয় গোপনে রেখেছি মানে গোপনীয় নয়, অনেক না বলা কথা শুধু লিখে রাখি, চিত্রকল্পে, যতিচিহ্নে শুধু মৃত্যুভয় শব্দের সাজানো ঘরে নীরবতা আঁকি। নীরবে রেখেছি তুলে সব হাহাকার; শীতলতা ভুলে থাকা দুপুরের শোক...