কবিতায় বিদিশা সরকার

 অবচেতনের তাগিদ থেকেই

যেন পরবাসে। জনশূন্য দ্বীপান্তরে। এখানে আবর্জনার গন্ধে অভয়ারণ্যের জলকেলির শব্দগুলো মোবাইলে আপলোড করা। সেই শুনে শুনে দুপুর গড়াল। ঘরগুলোতে জানলা থাকলেও শার্সি নেই।তাহলে গরাদ ভাঙ্গার গান গায় কেন? কেন তোমাকে ভুলে যেতে হয়? ওরা বোঝে কী করে, দু একটা গ্লাস ভাঙলে তোমাকেই মনে করা বুঝি? অধিবাসের তত্ত্ব দেখতে ডেকেছিলে।অপারগ গিয়েছিলাম নাকছাবি খুলে।সেখানেই যে জমা হয় চোখের জলের অপলাপ। ফিরে এসে সব জানলা বন্ধ করেও সানাইয়ের একেক চাবুকে খোলা ছাদে ঝুঁকে দেখি হাই ভোল্টজ তার,কোজাগরী আলো! সময় ফুরিয়ে আসে কাউন্ট ডাউন শুরু। সব শব্দ অভিসন্ধি, সব কথা অভিসম্পাত। ” পিয়া তোরা ক্যায়সা অভিমান “? কেউ বলেছিল নাকি,কেউই বলেনি।বলেনি আবীরা তোর সব আছে,দেহগন্ধ,উগ্র তেজারতি। এক মহাশূন্যে ভাসমান অজস্র চিঠিরা, বদনাম। আভোগী বিলাপ।সমাজ ঘুমিয়ে পড়ে অন্ধকার ছায়াঘন তামাদি তিতীক্ষা। আমার নিচোলে তার গিঁটগুলো খুলে দিচ্ছে কে যে! ক্রমশ আলগা হচ্ছে বিলাসখানির জোয়ারি। ওখানে মোচ্ছব, তার শব্দ কেন এখানেও — আকাশের দরজা জানলা নেই? রেলিংএ দাঁড়িয়ে আমি ঝাঁপ দেব। এগিও না কেই। পঞ্চায়েতে নির্ধারিত হোক আয়ান স্বপক্ষে কিছু আদিরস আর আমার সৎকারে আমি ভান্ডারা লাগাবো প্রিয় অধিবাস তুমিও শনাক্ত এই মৃত্যুর কারণে।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!