কবিতায় বিজন মণ্ডল

২০১০ সালে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছি । বর্তমানে কণ্ঠ শিল্পী হিসেবে নিয়োজিত । কবিতা লেখার পাশাপাশি ভৌতিক কাহিনী লেখা এবং পড়ায় বিশেষ আগ্রহী । প্রিয় সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।

গোধূলি কন্যা

পড়ন্ত রোদের আভা,
পশ্চিম আকাশ জুড়ে রঙের খেলা শুরু করেছে ।
পাখিরা ঝাকে ঝাকে আপন বাসার উদ্দেশ্যে,
সেই রঙ স্পর্শ করে কিচির মিচির স্বরে উড়ে চলেছে ।
ক্লান্ত কৃষক হাল কাধে নিয়ে দিনান্তে
বাড়ির উদ্দেশ্যে নিস্তেজ পা দুটি
এগিয়ে দিচ্ছে বার বার ।
গোধূলি সারা দিক
এক নতুন গন্ধের বার্তা নিয়ে এসেছে ।
সোনালি বিকালের স্নিগ্ধ কোমল বাতাস,
তোমার দীর্ঘ কেশ রাশিতে স্বচ্ছ ঢেউ তুলে
আলোড়িত করে গেল সমগ্র প্রকৃতিকে ।
দক্ষিনের মোহময়ী সমীরণ,
তোমার ললাট চুম্বন করে
নাচতে নাচতে ছুটে চলেছে উত্তরের পর্বতের দিকে ।
তোমার রূপের বাহারে প্রকৃতি যেন আজ রোমাঞ্চিত ।
তোমার কালো কেশ রাশি ধীরে ধীরে
সমগ্র জগৎটাকে আচ্ছাদিত করার আস্ফলন করছে ।
তোমার আচল ঢেকে দিয়েছে
আমার আকাঙ্ক্ষিত মনকে,
যা কেবলই তোমার জন্য রক্ষিত ।
তোমার মায়াবি চোখের চাহুনি,
সমগ্র প্রকৃতির ন্যায় আমার সমগ্র কলেবর
রোমাঞ্চিত করে আকুল করে তুলছে ।

লাবণ্যময়ী

মেঘলা রাতের ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি ভেজা তোমার তনু ,
সিক্ত কেশ রাশি জড়ানো তোমার বদনের মায়াবি চক্ষু ,
আমাকে পাগল করে দেয় ।
তুমি, ওহে মেঘ কন্যা কি অপরূপ লাবণ্য তোমার ,
কোথা থেকে ধার করেছো ওই রাধাকান্ত মেঘ বদন ?
কোথায় তোমার বাস, কোথায় তোমার জন্ম বলো..
কোথা থেকে তুমি নেমে এসেছো এই ধরনীর মাঝে ?
তোমার রূপে মোহিত হয়ে দখিনা বাতাস বয়ে চলেছে,
কেবলই তোমার স্পর্শ পেতে ।
কালবৈশাখী হুঙ্কার ছাড়ছে তোমাকে আপন করে নিতে ।
বলো, বলো হে চন্দ্র বদনা, কিভাবে তুমি কার হবে ?
তুমি মুক্ত খচিত সম্রাজ্ঞীর মুকুট পরবে ,
নাকি আমার ছোট্ট কুড়ের রাণী হবে ?
বলো, বলো হে অহংকারি সুন্দরের পুজারিনী—
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।