• Uncategorized
  • 0

T3 || আমি ও রবীন্দ্রনাথ || বিশেষ সংখ্যায় বিদ্যুৎ কুমার বোস

দুঃখসখা

খুব আনন্দ হলে কল্পিত প্রেমিকাকে জড়িয়ে ধরি,
গিটারে চেষ্টা করি হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া ।
খুব রাগ হলে ছুঁড়ে মারি কাপ, ঘুসি মারি দেওয়ালে
ভালোলাগা এলে শুনি বলিউডি রোমান্টিক গান ।
খুব ক্লান্ত হলে মায়ের কোলে মাথা রেখে চোখ বুজি।
আর খুব কষ্ট পেলে চিরাচরিত বাঙালি অভ্যাসে তোমায় শুনি।
হ্যাঁ, রবীন্দ্রনাথ, এভাবেই তুমি আমার কাছে আসো।
পাশের বাড়ির সুখে উপেক্ষিত দুঃখে একত্রিত বন্ধুটির মত ।
এই ঘিনঘিনে ঘেমো জীবনে যখন হোঁচট খাই,
ক্লেদাক্ত থেঁতলানো মনে অপমান বোধ চেগে ওঠে, ভেসে যায় বিশ্বাস আর ছাপোষা সম্পর্ক গুলো,
নিভু আলো রাতের শহরের ধাবার একলা টেবিলে
রঙিন পানীয় হাতে গেয়ে উঠি,–
“শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে,
তোমারি সুরটি আমার মুখের’পরে, বুকের’পরে।।
শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে, পড়ুক ঝরে।”
টেবিলের ওপাশে মূর্ত হও অশরীরী তুমি,
‘চিয়ার্স ‘ বলে হাতে তুলে নাও পানীয়ের গ্লাস।
কিংবা! আবছা অন্ধকার ঘরের ঘূন ধরা চৌকিতে
স্যাঁতস্যাঁতে বালিশে মুখ গুজে আয়নার ওপাশের
অস্পষ্ট ব্যর্থ মানুষটাকে বলি,
” হে ঐশ্বর্যবান,
তোমায় যা দিয়েছিনু সে তোমারই দান;
গ্রহণ করেছ যত ঋণী তত করেছ আমায়।
হে বন্ধু, বিদায় ।”
তুমি স্পষ্ট হও আমার পাশে, মাথায় হাত রাখো।
তোমার গভীর চোখ চিকচিক করে বোধহয়।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *