কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে বিচিত্র কুমার (গুচ্ছ কবিতা)

১| সে

একটা পুতুল পেয়েছিলাম শৈশবে,
ঠিক যেনো রূপকথার গল্পের নায়িকা ছিলো সে –
কে যেন আমার এক জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলো;
সে পুতুল সব সময় আমার সাথে খেলা করতো:
সুখ-দুঃখ হাসি-কান্না দুষ্টুমিতে।

কয়েক বছর পর পুতুল টা –
হঠাৎ সে এক উড়ন্ত প্রজাপ্রতির রূপ নিলো;
এই বাগানে সেই বাগানে ফুরফুর করে উড়তো:
হাসি আনন্দ উল্লাসে।

আর আমি হলাম ভালোবাসার এক তরুণ শিল্পী
হৃদয় মন্দিরে এঁকেছিলাম তার মুখশ্রীর ছবি;
সে কোন এক বসন্তে বলেছিল – হাতে রেখে হাত
তুমি হতে পারবে আমার ভালোবাসার কবি।

তারপর থেকে সোহাগী ভাঙা স্টেশনে সে –
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করতো;
তার ভ্রমরকালো চুলগুলো ঝিরিঝিরি বাতাসে উড়তো
উতলা উতলা পড়ন্ত বিকেলে।

ইদানীং অবহেলায় অগুছানো যেন তুমি
ঠিক বদলে গেছো এই পৃথিবীর জলবায়ুর মতো;
এদিকে আমার হৃদয়ে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে
তবু এখনো তোমার অপেক্ষায় আছি।

২| একেই বুঝি প্রেম বলে

হঠাৎ করে তোকে দেখে প্রেমে পড়েছি
ঘুমের ঘোরে তোর কপালে চুমু খেয়েছি;
মনের সকল ইচ্ছেগুলো উড়িয়ে দিয়েছি
প্রেম আর ভালোবাসার মানে দুইটা জেনেছি।

ইচ্ছেগুলো হাতছানি দেয় ইচ্ছে নদীর তীরে
তোর হাতে হাত রেখেছি একটু ধীরে ধীরে;
বুঝিনি যে প্রেমের জ্বালা কঠিন জ্বালা রে
অশ্রু ঝরায় একলা নীরবে হৃদয় গভীরে।

তুই ফুরুত ফারুত উড়িস ফিরিস দেখিয়ে তনু গা
ইশারায় বলিস শুধু আদর করে যা;
তোর প্রেমেতে ভিজবে কবে আমার শরীর গা
সোনার নূপুর পড়িয়ে দিব তোর দুটি পা।

সেদিন থেকেই পড়বে মনে আমার কথা বেশি
যেদিন থেকে চুপিচুপি ভালোবাসার মধু খেয়েছি;
তোর মধ্যে সিন্ধু নদী প্রেমের নতুন মহাদেশ বুঝেছি
অন্ধকারে এক জলের ধারা খুঁজে পেয়েছি।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।