কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে বিচিত্র কুমার (গুচ্ছ কবিতা)

০১| মনশ্রী

ও যেনো এক প্রাণবন্ত প্রজাপতি,
যাকে আমি সুদূর থেকে অপলক দৃষ্টিতে দেখেছি;
ফুরফুর করে উড়ছিলো তার দুটি আঁখি মেলি
জানিনা কখন যে হৃদয় খাঁচায় তাকে বন্দি করে ফেলেছি।

যে দিকে তাকায় সেই দিকেই ভেসে ওঠে তার প্রিয় মুখশ্রী,
আমি তখন হারিয়ে যাই এক স্বপ্নপূরীর দেশে:
ইচ্ছে নদীতে হাবুডুবু খেতে খেতে;
তার সাথে কথা হয় মনে মনে আবেগের বেশে।

সেখানেই আমি মাঝে মাঝে হারিয়ে যাই,
তাকে ভেবে ভেবে একটু সুখ খুঁজে পাই;
কি করে তাকে বোঝাই কী করে তাকে বোঝাই
স্বপ্নে তার একটু ছোঁয়া পাই।

হয়তোবা সে এসব কিছুই জানে না, শুনে না প্রেমের গান,
তাকে ভালোবেসে দিয়েছি আমি অঞ্জলি আমার হৃদয়প্রাণ;
শয়নে স্বপনে জাগরণে শুধু:
আমার প্রতিটি রক্ত বিন্দু নেয় তার প্রিয় নাম।

০২| একতরফা প্রেম

যেদিন তোমার চাঁদের মতো মুখশ্রী দুনয়নে দেখেছি,
তারপর থেকে আর কোনো ফুলপরীর দিকে:
কিছুতেই তাকাতে পারিনি।
নীল পরী, হলুদ পাখি, প্রজাপতিরা কতবার প্রেমের সুরে ডেকেছে;
তাদের সমস্ত ভালোবাসা মনপ্রাণ উজাড় করে দিতে।

অতঃপর,
আমি সকল প্রেমদেবীকেই বাস্তব জীবনে বঞ্চিত করেছি,
শুধু তোমারই জন্য।
তবু এই রঙিন পৃথিবীতে তোমার একবিন্দু ভালোবাসা:
কিছুতেই পাইনি।

০৩| অবহেলা

হয়তো বা তুমি জানোনা অনুশ্রী,
তোমার একটু অবহেলা কোন এক প্রাণোবন্ত জীবনকেও;
মহূর্তের মধ্যেই করে ফেলে ফালাফালা।
হঠাৎ হৃদয়জমিনে দাউদাউ করে জ্বলে উঠে:
বেদনার সুপ্ত আগ্নেয়গিরি;
কালো কালো মেঘরাশি জমে হৃদয়আকাশে
বিজুলি চমকায় হৃদপিণ্ডের ভিতরে শিরা উপশিরাই
দুনয়নের কোণে বৃষ্টির ফোঁটা ঘন ঘন আসে।

মনে হয় এই জীবনের ক্ষুদ্রমায়া ত্যাগ করে চলে যাই
স্বর্গের পৃথিবীতে,
যেখান থেকে কেউ আর ফিরে আসেনা।
সবাই বোঝে ফুলপাখি প্রজাপতি শুধু তুমি বোঝতে চাও না।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।