কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে বিচিত্র কুমার (গুচ্ছ কবিতা)

১| ও পাশানী
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই
বুকটা আমার খাঁ খাঁ করে কেমনে একা রই
দুচোখেতে ঘুম আসেনা তোর নামটা অজানা
কেমনে আমি সই।।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
ইচ্ছে ছিলো বুকের ভিতর বাঁধব সুখের ঘর
ভালোবাসার পৃথিবীতে কেন হলি পর
বুকটা আমার করে শুধু এখন ধড়পড়
এ ব্যাথা কেমনে আমি সই।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
তুই কেন বুঝলি না আমি তোর দিবানা
ঘুম আসেনা দুচোখ ঘুম আসেনা
তোর মুখটা লাগে চিনা চিনা
বুকটা আমার খাঁ খাঁ করে কেমনে একা রই।।
বুকের ভিতর স্বপ্নছিলো রাখবো তোকে বেঁধে
হঠাৎ তুই দেখা দিয়ে আমায় গেলি কাঁদিয়ে
এ ব্যাথা কেমনে আমি সই।
ও পাশানী দেখা দিয়ে হারিয়ে গেলি কই।।
২| সে
সে আমাকে আর রঙিনস্বপ্ন দেখতে দেয় না;
শান্তিতে ঘুমাতেও দেয় না;
চিনা চিনা লাগে তবু পরিচয় অজানা।
এই বুকে ভালোবাসা দেয় না ধরা
চৈত্রের কাঠফাটা রৌদ্রের মতো বুকে চলছে খরা।
যেদিকে তাকাই দেখি শুধু তাকে,
স্বপ্নে হাতছানি দিয়ে সে শুধু আমাকেই ডাকে;
চমকে উঠে দেখি- সে;
কাছে নেই কাছে নেই ধূধূ মরুভূমি
কোথায় থাকো তুমি ওগো প্রিয়া মৌসুমি?
বলে না কোন কথা সে;
মনের গভীরের লুকানো ব্যথা যে
শুধু তাকিয়ে থাকে।
ফুল ফুটে ঝরে যায় নিরালায়
নব বসন্ত রঙ মাখায়।
হয় না শুধু তার সাথে দেখা যে
এই রঙিন ভুবনে।