কবিতায় বিশ্বজিৎ হালদার

মৃত্যুর খুব কাছে

কি জানি কোন অবেলার ডাকে
অভিশাপ কুড়িয়ে-
সুখের লোভে পারি দিয়েছিলাম সবুজ মরুভূমিতে!
এখন আমার শরীর জুড়ে দূষিত রক্ত
অস্পৃশ্য অনাথ শিশুর মত
আমাকে আলগোছে ফেলে রেখেছে মৃত্যুর গুহায়।
নির্জনতা শুষে নেয় আমার নির্বাক কান্না
আমার চোখ বেয়ে নেমে আসে মিষ্টি জল
বিশ্রামের প্রলোভন দেখিয়ে
ইচ্ছে গুলোকে ঘুম পারিয়ে সময় আমাকে নিয়ে যায় চিরঘুমের দেশে।
আমার অসার শরীরে মোটা সুচ আর স্যালাইন
ওরা আমাকে অক্সিজেন মেপে খেতে দেয়।
কতদিন তোমার হাতে পায়েস খাইনি
তোমার নরম কোলে মাথা রেখে দেখিনি
মেঘের কোলে রোদের হাসি।
পড়ন্ত দুপুরে ভেজা বকুল ফুলের মত
সুদীপ ও এসেছিলে আমার জীবনে,
তোমাকে বলা হয়নি,
কলেজ ফাঁকি দিয়ে আমরা সেদিন
রূপসা নদীর কাছে গিয়েছিলাম
সারা পৃথিবীর দুঃখ বিক্রি করতে ।
দুরন্ত ঢেউ কেমন বাধ্য শিশুর মতো
মাথা নত করেছিলো আমাদের পায়ের কাছে।
ফেরার পথে, পড়ন্ত বিকেলে, বৃষ্টির উঠানে
আমাদের বৃষ্টি ভিজা দুপুর।
সেই প্রথম রাস্তার পাশে সামান্য একটা ফুচকা খাওয়ার নেশায় পেয়েছিলাম একখণ্ড কফি হাউস।
আজ ও সুদীপের শুকনো ঠোঁটে চুম্বনের নেশা,,,
পাগল ছেলেটা
কি জানি কোন কৃষ্ণচূড়ার নীচে
আজও আমার অপেক্ষায়।
আর আমি
সময়ের কোন বালিশে মাথা রেখে
মৃত্যুর খুব কাছে চির বিশ্রামে।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।