প্রবাসী ছন্দে বিপুল বিহারী হালদার (রোম, ইতালি)

বৈচিত্র লীলা

দূর প্রান্তের মাধুরী পরাগরেণু,সমীর তরঙ্গে ভাসি,
অপূর্ব স্নিগ্ধ আভা সৌরভে,মন মাতিল রঙ্গে আজি।
শুনিয়াছি রক্তিম মেদিনীতে,কিংশুক মাতিছে নৃত্যে,
অলি মধুকর মধু আহরণে,আনন্দিত গুনগুন চিত্তে।
কিংশুক উদ্বেলিত,বকুলের সৌরভে প্রেমালিঙ্গনে,
অরুণের কিরণে চমকিত,পতঙ্গরা উদ্ভাসিত রঙে।
শর্বরী শিশিরেও সখ্যগড়ছে,কিংশুক বকুলের প্রেমে,
শশী সপ্তর্ষি হরষিত মনোহর,আকর্ষিত রুপ দর্শনে। জলধর ভাসিয়া শশীকে আড়ালকরে, চলেযায় হাসিয়া,
ক্ষণপ্রভা ক্ষনিক চমকি,আঁখিতে নেয় তা কুড়াইয়া! রজনীর বিহঙ্গরা করে বিচরণ, মধু আহরণে মাতিয়া,
মধুকর বসন্তসখা ছুটি,প্রভাতে আসিবে দলবাধিয়া।
কুটিরে-কুটিরে গুনগুঞ্জন,প্রমোদবালারা নৃত্য ছন্দে,
কিংশুক বকুলের প্রেম লীলায়,মাতিবে রং বেরঙ্গে।
আনমনে প্রিয়-প্রিয়ার কন্ঠে,উঠিছে মধুর সুরধ্বনি-
আগুনের পরশমনি ছোঁয়াও প্রাণে–
এ জীবন পূর্ন করো দহন দানে–
প্রমোদের সুরে কলকন্ঠ বিহঙ্গরা,কুহু কুহু যায় শুনি।
মহীরুহ শাখা মেলি উর্ধমুখী,গগনে রইছে তাকিয়ে, বনানীর কিংশুক বকুল আবরণ,কাঁদে দূর্বাদলে লুকিয়ে।
পল্লী শিশুরা,ছিন্ন কিংশুক কুড়িয়ে,সাজায় তরণী-
বকুল কুড়িয়ে মালাগেঁথে,খোঁপায় রাখে কত রমনী; শৈল চূড়া গদগদ,বকুল কিংশুক, শৈলের ঢালেঢালে,
হলধর শৈলকে স্নিগ্ধকরে,বরিষণ করে পলেপলে।
অরুনের তাপে মৃয়মান,বনানীর পল্লবমঞ্জুরী শাঁখা, জলধর বরিষণে দিক জাগায়ে, অঙ্কুরিত পল্লব শাঁখা।
এ বিশ্বলয়ের খেলা খেলিছে,কোনবা গিরিধারী?
এতো রূপ রহস্য বৈচিত্র লীলা,সৃষ্টি তো তোমারি?

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।