গদ্যের পোডিয়ামে অমিতাভ সরকার

ঋদ্ধিমান সাহা

বিষয়টা কারোর আর অজানা নেই।

তাঁর হয়ে কাউকে কিছু বলতে হয় না।
তিনি নিজেও বলেন না।
উত্তর দেন।

উত্তর দেন ওনার পারফরম্যান্সে।
ব্যস, আর কিছু দরকার পড়ে কি?

তিনি যে পারেন।
কিন্তু আর কতদিন?

বেশ কয়েক বছর ধরেই ব্যাপারটা চলছে।
পরিসংখ্যায় সব বলে না। বলার কথাও না।

কিন্তু, তাদের তো ভাবা উচিৎ।
পরীক্ষকরা বোঝেন না কেন,
তাঁদের সঙ্গে এ রকম ঘটলে তখন কী রকম লাগতো ওঁদের!

অথবা, এ বয়সে ওদেরই যদি বলা হয়…

মাঠে নামা যতটা সহজ, খেলা কঠিন, আর ততটাই কঠিন বারবার বাদ পড়েও নিজেকে চিনিয়ে যাওয়া।

উনি পারেন। উচ্চতা যে মাটির অনেক কাছেই। তাইতো তিনি মাটির মানুষ।

কিন্তু মাটিরও যে অভিমান থাকতে পারে,
কেন কেউ বোঝে না?

ধৈর্য্যের আরেক নাম ঋদ্ধিমান সাহা।
যদিও, সবার নামের অর্থ মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলে না।

সবাই দেখে, আলোচনা করে, তাও একদিন-দুদিন।

তারপর ভুলে যায়।
কেউ আর ভাবেও না, বলেও না।
আমরা বাঙালিরাও না।

তবুও দিনের পর দিন সব সহ্য করে তিনি আজও প্রাক্টিস করতে নামেন, ম্যাচ হয়, সেরাটা দিয়ে যান।

ক্রিকেটের মাঠটা যে আরও বড়ো।
আমরা টিভিতে যতই ছোটো দেখি না কেন।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!