কবিতায় অর্ণব সামন্ত

চুপকথার রূপকথা

এক ঝাঁক পাখির কিচিরমিচির

একান্ন পাতার অন্ন নিমেষে উড়ে যায়

শোরগোলে আনন্দ সংকীর্তনে দিন ছোটো রাত ছোটো

গ্রহনক্ষত্রদের নিয়ে চলে গ্যালাক্সি পরিবার

সময়ের ভ্রুকুটি দারুন জটিল , কঠিনও

গ্রামপতনের শব্দে পরিবার ভাঙতে থাকে

পদ্মপাপড়িতে শিশির দ্যাখার কেউ থাকে না

কিংবা ফুল থেকে প্রজাপতির মধু আহরণের মধুর দৃশ্যকে

সরেজমিন করতে

শূন্য ঘরে আজ হাওয়া বাঁশি বাজায়

বেতসপত্রের মতন কেঁপে ওঠে স্মৃতিগুলি

কুয়াশা চাদরে কত চোখ অস্পষ্টভাবে ভেসে ওঠে , ডুবে যায়

রঙ ফিরে হয়ে যাওয়া ধূসর পান্ডুলিপির মতন জীবন যাপন

আর ফেরে না কখনো সেই সরগরম ঘরে

শুধু ইতিহাসে থেকে যায় বিবর্ণ বিধ্বস্ত শালিখের নীড়ের মতন

অন্ধকার গিলে খায় সেইসব আলোকিত দিনগুলি

শূন্য ঘর থাকে অহল্যা প্রতীক্ষায়

যদি তারা ফিরে আসে যদি তারা আবার শুরু করে গেরস্থালি

আবার জ্বালে আলো নক্ষত্রের , আগ্নেয়গিরির আগুনে রাঁধে ভাত

বিলি করে একান্ন পাতার ক্ষুধায় ভালোবেসে আদরে সোহাগে

তবে মচ্ছব লেগে যাবে অন্তরে অন্তরে

তবু প্রান্তরের হু হু হাওয়া এসে দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে

ভিটেমাটি চাটি করে পরিযায়ী পাখিরা গ্যাছে একটু উষ্ণতার খোঁজে

তারা কি উষ্ণতা পেয়েছে নাকি ডুবে গেছে

শীত আরও শীতের তুষার তুষার যুগের মধ্যিখানে ?

শূন্য ঘর পাথর পাথর চোখে একা বিনিদ্র জাগায়

যদি তারা আসে, যদি তারা কোনোদিন ফিরে আসে !

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।