T3 || রবি আলোয় একাই ১০০ || সংখ্যায় অনিন্দিতা সেন

পারানির কড়ি

রবিঠাকুর… ওগো আমার প্রাণের ঠাকুর…
হাপুস নয়নে কাঁদছে সুমি, তার একলা বাগানের শিউলিতলার কোনটিতে!
কেন কেন, কিসের দুঃখ তার! কেন যে এত মন কেমন করে!
আজি ঝরো ঝরো বাদর দিনের
ঝরে যাওয়া প্রতিটি বৃৃষ্টিকনার ভিজে বাতাস আদরের স্পর্শ বুলিয়ে যায়
সুমির মুখে বুকে!
আকাশের এই আনন্দ বাণী উদ্বেল করে হৃদয়
ধীরেধীরে তুলে নেয় মাটির আড় বাঁশিটি!
আচ্ছা, ঠাকুর কি আগে থেকেই বুঝতে পারে
সুমির কষ্ট?
তাই কি সুর হয়ে নেমে আসে হৃদয়ের বিজন কোনে! বেদনার এই এত ভার বইতে বইতে
নিবিড় পুলকে কেঁপে ওঠে সারাটা শরীর!
প্রাণে লাগে শান্তির পরশ, তার একলা পথচলার
রমণীয়তা লুকিয়ে থাকে কোন বিজন ঘরে…
সুমি টেরও পায়না!
শুধু সঞ্চয় নয়, মনের কোন গহীন কোনে
একলা পথে যাবার ছলে
সর্বনেশে ঝড়…
উড়িয়ে নিল ভাবনা যত ভুলিয়ে দেবার ছলে
নতুন করে ভোর জেগে ওঠে ঝড়ের বজ্রপাতে!
সুমি অবিচল, নতুন পথের বার্তা নিয়ে
অপেক্ষা করে সুর্য্যোদয়ের!
দুঃখ, শোক, বিরহ দহনের পরেও আছে শান্তি
নিত্যধারা প্রাণের মত বসন্তের নিকুঞ্জ বনে
ফুল ফোটে আবার ঝরে!
ক্ষয়হীন সেই পূর্ণতার পায়ে অপার শান্তির খোঁজ
সুমির দৈন্যবোধ হয়না।
গেয়ে ওঠে… আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার
পরাণ সখা বন্ধু হে আমার!
সুমি খুঁজে বেড়ায় সুদূর নদীর পাড়ে
গহীন বনের ধারে গভীর অন্ধকারে
খেয়া পারাপারের শেষ পারানির কড়ি!

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।