ছুটন্ত ট্রেনের জানলা দিয়ে
সরে সরে যাচ্ছে পলাশদিগন্ত ।
আদ্রা থেকে গড়পঞ্চকোট হয়ে, টিলা পেরিয়ে দুধারে আগুনরঙা বসন্তের হাতছানি।
গ্রামের সরু রাস্তার শেষে অপার বিস্ময় !
বড়ন্তির শান্ত লেকের জলে স্থির ছবি পড়েছে ওদের।
একটি ছায়ামূর্তি দেখে ,
মাথা তুলে পেছনে তাকাতেই দেখলো–
বছর পনেরোর একটি মেয়ের হাতে এক গোছা পলাশের মালা !
“লিননা বাবু ; দশ টাকা মাত্র..
ভাইয়ের খুব জ্বর ,এইক’টা বিক্রি হলেই , মা ওষুধ আনতে যাবে ওর জন্য ।”
হাসিমুখে সব মালাগুলো কিনে একটা নোট বাড়িয়ে দিল মল্লিকা !
একশো টাকা !
মেয়েটির সারা শরীরে আর টানা টানা চোখে সে কী আনন্দ .!
ওর বসন্তযাপন পলাশের মালা পরে নয়,
শেষ মালাটি বিক্রি করে।
বছরে এই সময়টার অপেক্ষায় থাকে ওরা..
বেড়াতে আসা বাবুদের থেকে পাওয়া ক’টা টাকাই ওদের কাছে বসন্তের সেরা উপহার।