গদ্যের পোডিয়ামে অমিতাভ সরকার

এ কালের স্বীকারোক্তি

টীচারদের কেউ খারাপ ভাববেন না।
সবার মতো তাঁদেরও যে খুব সরল একটা মন আছে। এটা ঠিক যে এর তুলনায় অন্য চাকরির খাটনি কিন্তু অনেকটাই, কাজের চাপও সামনে থেকে না দেখলে চিন্তা করা যায় না, তবু জানবেন আপনাদের সন্তানেরা কিন্তু আমাদের কাছেই জীবনের পাঠ নেয়, দুঃখ-সুখে ওরা-আমরা পরস্পরের একান্ত সমব্যথী ; সুতরাং, যা বলবেন, ভেবেচিন্তে বলুন, কারণ আপনার রাগটাও কিন্তু ওরা স্কুলের আগে বাড়ি থেকেই কপি করে। হ্যাঁ, যা দেখছেন, বুঝছেন, তাও খুব একটা ভুল কিছু না। কিন্তু ছাড়তে যখন হচ্ছেই, তখন ভালোবেসে ছাড়ুন।

টীচাররা ছুটি পান ঠিকই, তার মধ্যে চিন্তার অনলাইন অফলাইনের কাজগুলো কিন্তু থেমে থাকে না। আপনাদের ছেলে বা মেয়েটা যে টাকা পায়, তার জন্য এই বেয়াল্লিশ ডিগ্রি গরমে হিসেবের দৌড়াদৌড়িটাও আমাদের মতো এই মাষ্টারগুলোই করে। সুষ্ঠুভাবে বাঁচতে হলে টাকা অপরিহার্য ঠিকই, তবে এটাও ঠিক যে জীবনের সব হিসেব কিন্তু শুধু টাকাতে হয় না।

দিনের আপনি-আমি কিন্তু সেই একই। সবাই কিন্তু কারো না কারো সময়ের অভিভাবক। অভিভাবককে ছোটো ভাববেন না।

পাশের মানুষটাকে, কাছের স্কুলগুলোকে একটু দেখুন। স্টুডেন্ট পাঠান।

যাতে,
ভবিষ্যতে আমাদের বাচ্চাগুলোকেও ইংরাজির পাশাপাশি ভালো করে বাংলাটাও শেখাতে পারি।

Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!