কবিতায় পদ্মা-যমুনা – তে আনোয়ার রশীদ সাগর

১| বৃষ্টিভেজা নদী

ঈর্ষাপরায়ণ ঠোঁটের কার্ণিশে জ্যোৎস্নার ঝর্ণা দেখে
প্লাবিত হই মনে মনে-
ঘ্রাণ ছড়ায় সর্বাঙ্গে,সৌরভে মুখরিত ভিখিরি শরীরি কাম;
বৃক্ষের শাখায় শাখায় ভাঙনের সুরে ঝর্ণা স্রোত নিঃশব্দে পরাজয় মেনে নেয়।
নদী, পথভ্রষ্ট আমি অন্ধকারে হাটি ধীরে ধীরে গ্রাস করো তুমি,
তোমার দেহজ কমলা ঘ্রাণে বসন্ত আসে মনে,
বিকশিত ফুলগুলোও বেদনায় ঝরে;
ঈষৎ বেদনায় কুকড়িয়ে উঠে স্নানরত মানব জন্মের দেবতা
থেমে যায় বসন্তের উত্তেজিত অশ্রুসিক্ত অঙ্গটি।
নদী,তুমি এক দীর্ঘশ্বাসের ছায়া আকাশী খোপা খুলে
উড়াও বেদনার ঘুঘুডাকা চৈতি বাতাস;
রৌদ্রখরায় পুড়ে পুড়ে নিঃশব্দ ঝাজ ভিতরে ভিতরে ক্ষয়ে যায়-
তারপর শব্দের বীজ বুনি নীল সমুদ্রে
তুমি দেখতে পাও শুধুই সুখের পায়রা।

২| স্বদেশ

রমণীয় নর্তকী জীবন
হারিয়ে যায়
সময়ের ব্যবধানে গভীর হয় রাত
এ এক ব্লাকহোল সময়।
হোঁচট খেতে খেতে এসে যায় নিঃসঙ্গ শ্রাবণ,
আকাশের ক্রন্দনে সাঁতার কাটে বিরহ কাল।
হাঙ্গর বা বাজপাখিও খুঁজে পায় না
নিষিদ্ধ দূর্গন্ধময় আহার, নিস্তব্ধতার অশ্রুজলে
ভাসছে অভুক্ত প্রার্থনা।
পরিত্যাক্ত বাস্পকণিকাও বরফ হয়
নির্মম অন্ধকারে, প্রকৃতি তার ব্লাউজ খুলে
নগ্ন স্তন উড়ায় মসনদে বসে।
ডুবে যায় অনুভূতি সচেতন মায়াময় চোখ,
ঈশ্বর হারায় স্বকীয়তা জল্লাদের হুঙ্কারে,
ঝিঝি ভুলে গেছে চিৎকার
জোনাকী আলো জলে না আঁধারে
ভিন্নস্বরে ঘূর্ণায়মান আমার স্বদেশ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।