একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিন। আমি সমুদ্রসৈকতে বসে আছি, সমুদ্রের ঢেউ এসে আমার পা ভিজিয়ে দিয়ে যাচ্ছে।আর সমুদ্র সৈকত থেকে কিছুটা দূরে শহরের দিকে দেখা যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দির। সমুদ্রের দিক থেকে বয়ে আসছে মৃদু হাওয়া আর চারপাশের মনোরম পরিবেশ আমি বেশ উপভোগ করছি।
হঠাৎ কলিংবেল থেকে ভেসে আসা”টিং টং, টিং টং” শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেল। দেখলাম আমি পড়ার টেবিলে বসে গল্পের বই হাতে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। তারপর আমার পড়ার ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি আমার বাবা দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি দরজাটা খুলে দিলাম, বাবা দরজা দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢুকতে না ঢুকতেই আমার মা পাড়ার বইয়ের দোকান থেকে তার প্রিয় ম্যাগাজিন হাতে বাড়ি ফিরল। মা বাড়ি ফেরার সাথে সাথেই বাবা বলল ” আগামী রবিবার সন্ধ্যায় আমরা পুরীতে বেড়াতে যাব, আমি এখনই টিকিট বুকিং করে এলাম।”কথাটা শুনে আমার বেশ আনন্দ হল। আর তার সাথেই আমি আর মা বেড়াতে যাবার জন্য ব্যাগ প্যাকিং শুরু করলাম।
অবশেষে এলো রবিবার আমাদের বেড়াতে যাবার দিন। আমরা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে পুরীর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।পরদিন ভোর বেলা আমরা পুরীতে পৌছালাম এবং আমরা আমাদের হোটেলে গিয়ে উঠলাম। হোটেলে গিয়ে আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম। তারপর ব্রেকফাস্ট সেরে সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।
সেখানে পৌঁছে আমার দেখা স্বপ্নটির কথা মনে পড়ে গেল।একদম আমার দেখা স্বপ্নটির মতো অবিকল পরিবেশ। মৃদু হাওয়া বইছে, চারিদিক রৌদ্রোজ্জ্বল তবে রৌদ্র বিশেষ প্রখর নয় আর দূরে শহরের দিকে দেখা যাচ্ছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের চূড়াটি আর তার উপরে হাওয়ায় উড়ছে মন্দিরের ধ্বজা।
আমি উপলব্ধি করলাম যে, সেদিন দুপুরে দেখা স্বপ্নটা সম্পূর্ণরূপে সত্যি হলো। আমার এই উপলব্ধির ফলস্বরূপ আমার মুখ থেকে একটাই কথা” স্বপ্ন হলেও সত্যি”।