T3 || কোজাগরী || বিশেষ সংখ্যায় অমিত মজুমদার

লক্ষী টিয়া
বাকল চিনতে গাছের ডগায় হাপিত্যেশ
নিজের সঙ্গে ত্রিপল রাখছি অন্যেরও
লক্ষী মন্ত্রে হাড় কাঁপানো ধারদেনায়
হাড়ের থেকে বাইরে আসে বোন ম্যারো।
শিরদাঁড়াতেও ছড়িয়ে গেছে মরণ ফাঁদ
দাগ রেখেছে দড়ির ছাপে গলার কোণ
লাঠির শরীর যেই হয়ে যায় দেশসেবক
পাঁজর ভেঙেই চাইবে ছুঁতে কলার বোন।
ছাল ছাড়ানোর বড়ই তাড়া ঈশ্বরের
পিঠের থেকে ছাল ছাড়িয়ে হাড় গোনে
হাড়ের গুঁড়োয় শরীর ঢাকা ভক্তদের
পিঠেও যেনো মানাচ্ছে পোষ পার্বণে।
অনেক হলো চাপানউতোর জলকামান
এখন শুধু কয়েকটা ঢোক বিয়ার, ব্যাস
মানতে হবেই কান্নাকাটির হরতালে
সেল ফাটাচ্ছে আপদকালীন টিয়ার গ্যাস।
লক্ষী টিয়া অজ পাড়া গাঁ’য় থাকতো না ?
ট্যারা চোখে দেখতে গিয়েই লাল ঠোঁটে
চুমুক দিতেই ভয়ংকর এক আর্তনাদ
মাংস থেকে অমনি গেলো ছাল ওঠে।
এরপরই তো লাঠির মতো লাটসাহেব
হাড়ের গুঁড়ো চাইতে এল ধর দেখে
সমস্ত ঘর শ্মশান সেজে লাশ পোড়ায়
খাঁচার টিয়া উড়িয়ে দেবার পর থেকে।