কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আলমগীর কবীর হৃদয় (গুচ্ছ কবিতা)

১| এলোমেলো সংলাপ

হয়তো আছি, নয়তো নেই
হয়তো ছিলাম, নয়তো ছিলামনা…
কিংবা হিসাবের সূত্রটাই ভুল ছিল?
সুখ ছিল, দুঃখ ছিল, ছিল ঢেড় প্রাপ্তি।
বন্ধনটা একদিকে খুব দৃঢ় ছিল
অন্যদিকে হয়তো আলগা…
হঠাৎ বৃষ্টিতে ভেজা ছিল
প্রকৃতির মত সত্য।
মিল অমিলের খেলায়
জীবন আজ বড্ড ক্লান্ত
মধুর সত্য এটাই শূন্যতায়
জীবন আজ পূর্ন…

২| অনন্ত

তোমরা যে অবয়ব কে আমি বলো
আসলে সেটা আমি নই
আমার যে দেহটাকে তোমরা মানুষ ভাবো
আসলে সে প্রকৃত মানুষ নয়
একটি আকার মাত্র স্বগোত্রে চিনবার জন্য
আমাকে তো দেখা যায় না
ঠিক সে কারনেই প্রকৃত আমাকে চেনা যায় না
দেহ তো গলে পঁচে যায়
আমি কখনোই গলে পঁচে যাই না
আমার প্রত্যাবর্তন আছে
ক্ষণিক পৃথিবীর সৃষ্টি লীলা দেখবার
আর- পুরোটাই স্বর্গলোকে থাকবার
পৃথিবীতে আসবার আগে যে রুহের জগতে
ছিলাম আমি, সেই আমিই প্রকৃত আমি
সেই আমাকে দেখা যায় না
সেই আমাকে ছোঁয়া যায় না
অথচ সেই আমিই প্রকৃত, সেই আমিই মহাশক্তি
যার বিনাশ নেই, আছে শুধু প্রত্যাবর্তন
সে আমি অনন্ত…
দেহের কর্ম দিয়ে আমাকে বিচার করতে যেওনা।

৩| দু’জন একা

অনেক অনেক রাত্রিকাল
তারাদের সাথে, কথোপকথনে কেটে যায়
তুমি আসোনা সেই কথার ভিড়ে
যে তোমার মধুর কথাতেই,আমার সময়গুলো
ছিলো পরিপূর্ণ…
তোমার সময়হীনতা না আমার ব্যস্ততা
তোমার উপেক্ষা না আমার অবহেলা
কিছুতেই সহজ সমীকরণ হয়না…
প্রকৃতি সময় কিংবা চেতনা
কিছুই হারাইনি আমরা
অথচ কেবলই দূরত্ব বেড়ে চলেছে
যেন দু’জন এখন বড্ড একা।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।