বিজয় এখন একটু ভালো আছে তাই তাকে আইসিইউ থেকে জেনারেল বেডে আনা হয়েছে। ঘটনাচক্রে ওই হসপিটালের এক কর্মচারী বিজয়ের ছোটোবেলার স্কুলের বন্ধু অর্ণবের সাথে দেখা হয় , বিজয়কে দেখে অর্ণব চিনতে পারে । অর্ণব – ” কি ব্যাপার বিজয় যে! এইখানে কেন ? শরীর খারাপ হলো কি করে “? বিজয় পুরো সুস্থ হয়নি তাও কথা বলতে পারছে । বিজয় – ” সে অনেক কথা আমি ভালো হয়ে বাড়িতে ফিরে তোকে জানাবো” । অর্ণব – ” আচ্ছা বেশ তাই হবে তুই তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যা আজ আমি আসি। বিজয় -” তুই এইখানে কি করিস “?আমি রোজ এইখানে আসি আমার বাবা মারা গিয়েছে ১ বছর হলো ,বাবা চাকরি করতেন তাই আমি বাবার চাকরিটা পেয়েছি , আমি এখন আসি রে কাল তোকে দেখে যাবো। বিজয় ঠিক আছে বলে চোখ বন্ধ করে । রাত তখন ১২ টা বাজে। বিজয়কে দেখে নার্স চলে গেলো, বিজয় তখন বেশ ভালো আছে, বিজয় মনে মনে মিমের কথা ভাবছে , এমন সময় বিজয়ের মুখে আলতো করে কেউ চুমুর পরশ বসালো , বিজয় চোখ মেলে দেখে মিম পাশে দাড়িয়ে আছে । বিজয় – ” মিম তুমি এত রাতে ?কি করে এইখানে আসলে ? মিম – ” তুমি এতো প্ৰশ্ন করো কেন, আমি এসেছি তোমার ভালো লাগেনি বুঝি ? বিজয় – ” তা কেন হবে তুমি সব সময় রাতে আসো তো তাই আমার ভয় হয় যদি তোমার কোনো বিপদ হয় ” । মিম – ” না গো আমি ঠিক থাকবো তুমি চিন্তা করো না , তুমি ঘুমিয়ে পড়ো ” । মিম বিজয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো এবং বিজয় ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়। বিজয়ের ফোনটা পুলিশ দিয়ে যায় ওর মা কে, ফোনে তেমন কিছু পাইনি । বিজয়ের মা কে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করে কিন্তুু বিজয়ের মধ্যে কোনো খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি ,উপরন্ত বিজয় গরিব ঘরের মেধাবী ছাত্র । বিজয়কে দেখতে আসে অর্ণব -কি’রে কেমন আছিস ? বিজয় – ” ভালো আছি রে আগের থেকে , শোন না তোর আমাদের স্কুলের মিমের কথা মনে আছে “? অর্ণব – ” হ্যাঁ তা থাকবে না তুই তো পাগল ছিলিস , ওকে আমাদেরও অনেকের ভালো লাগতো কিন্তুু ওর ঘটনা শুনলে তোর কষ্ট হবে “। বিজয় – ” কিসের কষ্ট তুই কি বলছিস এ সব”। অর্ণব – “সে দুই বছর হলো একটা একসিডেন্ট হয়ে মারা গিয়েছে, আচ্ছা শোন না আমি পরে এসে তোকে সব বলব এখন একটু কাজ আছে” এই বলে চলে যায়।
বিজয় কথাটা শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না যাকে সে চোখের সামনে দেখছে সে মারা গিয়েছে কি ভাবে!!!!! তার সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে যেন ।