কবিতায় স্বর্ণযুগে আমিনুল ইসলাম (গুচ্ছ কবিতা)

অস্পষ্ট অন্তরাল

 


ক্রমশঃ গভীর ডুবে যেতে যেতে
এক সাগর বুকের ভিতর ~

পাখি স্বপ্ন ধরতে চায়
মনে মেঘ সাজায়~

ক্রমশঃ সুন্দর গ্রাস করে অন্যমনষ্ক প্রদীপ

মুক্ত হাওয়ার আকাঙ্খায় ~

একবুক নিঃশ্বাস বেলুনের ভেতর

শিমুল তুলোর সাথে খেলে ~

 


অপরিচিত = কালো
না-জানা না-বোঝা এই রং সর্বত্রই

পাহাড়ের প্রান্তদেশে যেখানে দৃশ্যের ডানা ভাসে
জানালার অভ্যন্তরীন ঋণ প্রস্ফুটিত আলোয়
অন্ধকার লাবণ্য থেকে ফুটে ওঠে জ্যোৎস্না

সোনালী মোড়কে ভালোবাসার বন্দীত্ব

শাখায় শাখায় উন্মুখ ~ পরিচয়

প্রেমহীন রসায়ন রহস্যের তুলোয় বর্ণময়

 


যেদিকে তাকাও সমবেত অতিক্রম
পিছিয়ে পড়া বাল্যকাল দেখে হাসে

খোসার ভেতর নতুন স্পন্দন

খেজুরের রসে পরিপূর্ণ মাটির ভাড়
দুলে ওঠে সজল

এক অজানা আনন্দ বেজে ওঠে
প্রস্ফুটিত প্রফুল্ল কাজল ~

 


বীণার তারে লেপ্টে স্পর্শের তাপ

তুমি নেই- একথা কী করে বলি!
কিছু কথা বলার চেয়ে মৌনতা মুখর ~

এই তপ্ত ভূ-খন্ড আমার অভিলাষ নয়
মৃদু মন্দ হাওয়া স্পর্শের দাপট দেখায়

এবং ছিটেফোটা তাচ্ছিল্যের ধোঁয়া
চোখে মেঘ আনে

 


আলোর খোঁজে পাপড়ির নির্যাস
স্তনের ওপর চকচকে প্রজাপতি
আলো মেলে দেয়

মায়ের অনুভব জড়িয়ে ধরে
দীপ্তি জানে না অপ্রতুল জলে ডুবেছে তরী

নামগন্ধ মাখা সূর্যের সঙ্গোপনে ছায়া
পিছু পিছু আরও কিছুদূর ধাওয়া

এই চরম জ্যোৎস্না কবলিত নদী হাসছে ~

 


তারপর আঁকা~ তুলির নিঝুম নিগুঢ়

তারও পর পরম্পরা রাতের ~

কিছু অদৃশ্য কপাট খোলে অপ্রত্যাশিত~

শিশি থেকে উবে যেতে চায় কপুর

আমি অন্ধ অহংকারে পোড়া ইঁট

একদিন আবার বন্দী- বেঁধে সব গিঁট

তারপর তুলি থেকে শব্দ ঝরবে
বুলবুলি উড়ে যাবে

ঘুমোতে চায় না বুকে পাখির প্রত্যয়
রক্ত শুকিয়ে যায় ~

মনে হয় আলগোছে নৌকো
জলের ওপর অহেতুক ঘুমোয়…

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।