কবিতায় পদ্মা-যমুনা তে আলতাফ হোসেন উজ্জ্বল (গুচ্ছ কবিতা)

১| স্থিরচিত্রে তুমি নায়াগ্রা জলপ্রপাত
স্থিরচিত্রে তুমি অক্ষর,তুমি নায়াগ্রা
জলপ্রপাত
মিসিসিপি নদীর ধারে-
ক্লান্ত জীবনের পটভূমি তুমি:
মরুভূমির প্রখর বিদ্রূপাত্মক!
তুমি নায়াগ্রা জলপ্রপাত
তুমি অদ্ভুত দর্শন।
গোধূলি লগ্নে,
তুমি ছিলে রূপ শান্তি ক্ষমা প্রেম অপূর্ণ
ইচ্ছের হৃদয় কথোপকথন;
হৃদয়ের ভাষায় তুমি ছিল অন্নপূর্ণা
প্রতিমা।
কল্পনায় ভেসে তুমি সেই প্রিয় মুখ ;
মায়াবী মুখের মায়াবতী প্রতিচ্ছবি
অমৃতা সুধাময়ী তুমি ।
জোছনা রাতে আলোর সঙ্গে
প্রিয়ভাষিণী রুপোলী চাঁদ।।
বহুকাল আগে থেকে হৃদয়পটে
মায়াবী বীনায় তুমি আর তুমি।
এখনো পর্যন্ত প্রিয় তুমি পদ্মন্যায়ের
উদ্যমী সুবাসিনী!
অফুটন্ত ফুলের দ্রবীভূত রেনুর
বীজবারণ :
সংগ্রহ শালার মনুষ্যি
ঈপ্সিত কোনো রূপসী তুমি
আমার উদয়ের যবনিকা,
সমাপ্তি অসমাপ্ত আত্মজীবনী
কারাগারের রোজনামচায় তুমি
কথোপকথন।।।
২| বুনিয়াদি শাসন!
বুনিয়াদি শাসন! সমাজ ও পরিবার তন্ত্রে,
অন্ত্রে প্রতিস্থাপিত লগ্নে
মানুষ হতেছে নাজেহাল মানুষের
হাতে;
বিশ্ব ভুবনে কালো রঙের ছোঁয়া
লেগেছে যদিও;
এখানেই আমার হাত পা বাধা!
ত্রিভুবনে নেই কোনো
পরিশুদ্ধ ব্যাখ্যা ~
সমানতালে আইনি পরিবেশে
রয়েছে কি?
সংহত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা!
বাকীটা আঁকা কাল্পনিক অস্তিত্ব
বিজ্ঞ নভোঃজীববিদেরা
প্রমাণ করে
ত্রিভুবনের জনে জনে।।
ঝড়-ঝঞ্ঝা কুদৃষ্টি প্লাবন
উতরিয়ে সাফল্য অর্জন
সবে—যেই কালে বক্ষু উপত্যকা
পাড়ি জমাতে থাকে
ঊষর ভূমি উপহার সেজেগুজে
প্রাসাদের বাগানে বুনিয়াদি শাসন
ব্যবস্থা গড়ে তোলে
কাকতালীয় শুভক্ষণের কর্মকর্তা।।।