|| বাইশের বাইশে শ্রাবণ একটু অন্যরকম || বিশেষ সংখ্যায় মোঃ আলতাফ হোসেন
দে-শ মাতৃভূমি
আমার রাগ ছাড়া তোমাকে দেবার কিছু নেই,
আর আমার ঘৃণার পুষ্পদণ্ড সীমান্তের ওপারে পৌঁছে যায়,
তুমি, তুমি আমাকে অনেকবার বিক্রি করে দিয়েছো নির্বাসনে।
এখন মূল্যবান মনের সংকীর্ণ,
উদ্ধার করে জিজীবিষা
উপর নির্ভর করে,
তোমার বিধ্বস্ত ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে কী?
হাত বাড়িয়ে কেউ কষ্ট দূর করতে পারে!
তোমার রাস্তাগুলো হাতকড়া পরা লোকে ভরা,
ড্রামগুলি হল প্রহরীদের উচ্চস্বরের ধাক্কাধাক্কি বুটের থাপ্পড়।
সৃজনশীলতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ং ভয়ঙ্কর যমজ, আইন-শৃঙ্খলা,
কাঁটাতারের পুরু সুড়ঙ্গ বেয়ে সুর ডাক।
এখানে স্পট , সপ্তাহের পর সপ্তাহ,
দেয়ালগুলি দ্রবীভূত হয় দুপুরের ঝাঁঝালো কণ্ঠে,
কুয়াশা পরিষ্কার হচ্ছে
তাই খবর দেখানো হচ্ছে
সুটকো শহর জুড়ে মার্সেরই জয়জয়কার।
একটি শরীর যা নিজেকে খুঁজে পেতে তৃণমূল জাতীয় পতাকা গোত্রের ডাইনোসরদের কাল ভেদে পৃথিবীর মানবতার ধারক বাহক,
বাদুড়ের সংস্পর্শে এসে
আমাদের হৃদয় আকাঙ্ক্ষা ভয়ের স্পন্দনে থরথর করে,
আর স্বপ্নগুলো তোমার ইতিহাসের পুড়ে যাওয়া অধ্যায়ে।
আমার দেশ, মনে রেখো আমি চোখ পলক করিনি, ঘুমাতেও যাইনি
আমার দেশ, আমি কখনই তোমার জীবনকে নিচের দিকে যেতে দিইনি,
নিষ্ক্রিয়ভাবে তোমাকে দেখেছি বহুবার , বেপরোয়াভাবে চালিত গাড়ির মতো,
চালক লাফ দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময়, দুর্ঘটনার দিকে তাড়াহুড়ো করে।
দিনগুলো হারিয়ে গেছে তাদের গান ও নুন
আমরা মুক্ত হাসি এবং কণ্ঠস্বর ছাড়া বিরক্ত বোধ করি,
প্রতিদিন একই কথা ভাবছি এবং আমাদের আশাবাদী দিয়েছি।
তোমার দিনগুলো ঝনঝনা কফের সাথে উচ্চস্বরে
পুরুষদের বাহুতে যেমন তারা ক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়।
আমি জানি একদিন আসবে আমার ব্যথা ধুয়ে ফেলবে
আর রাত থেকে গান ভেঙ্গে যাবে নিদিষ্ট সূর্যের মতো,
এই অশুভ তারাগুলিকে উড়িয়ে দিয়ে।।