কবিতায় অদিতি ঘটক

বীজ
ভেঙে যেতে যেতেও যা রয়ে গেল
তাকে তুমি অনায়াসে
আমাদের মহতী প্রেম বলে চালিয়ে দিলে
পাবলিক বেশ খেলো,
খেয়ে দেয়ে তাদের স্বভাব বশে ভুলে গেল;
কানাকড়ির দিশেহারা উৎসবে মেতে গেল আবার
সেসবে তোমার তেমন মনখারাপি নেই;
তাদের দ্বন্দ্ব বিবাদ বিষমবাদেই তোমার স্থিতি
মিঠে যমুনার কালো জল
কত যুগ আগে রঞ্জিত হয়েছে
লাল রঙ তোমার অভ্যেসে ।
নানা অছিলায় তাই ছিটিয়ে দাও রুধীর স্রোত
অথচ হলুদ ও নীলকে আমরা
জড়িয়ে নিয়েছিলাম বড় আপন ভেবে
কারন তা মিলেমিশে সবুজের জন্ম হয়
সেখানে মাটি ফুঁড়ে দ্বেষ নয়
উঠে আসে অনন্ত সম্ভাবনা
নড়বড়ে সাঁকোয় চলনের গুপ্ত কৌশল জেনে
ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে
তুমি দ্রুত পৌঁছে গেলে সর্বোচ্চ চূড়ায়
বীজ থেকে অঙ্কুরের আভাসে
বইয়ে দিলে অবিশ্বাসী তপ্ত হাওয়া
সাঁকোটা কাঁটাগাছ ও পেরেক উদ্গমে পারঙ্গম হয়ে উঠল
ব্রাত্য আমি রয়ে গেলাম সাঁকোর এপারে
তোমার তৈরি করা ধোঁয়াশার আড়ালে
সম্পূর্ণ নিরাভরণ নিঃস্ব
কলঙ্ক ও অপবাদে নিমজ্জিত
তবুও আমি প্রজন্মের পর প্রজন্ম
সাঁকোতে ঢালি
অটুট বিশ্বাসে জারিত প্রেমরস
সেই অসীম অনন্ত সম্ভাবনার লক্ষ্যে