রামনগর অমরজ্যোতি হাইস্কুলের শিক্ষক নির্বাচক মণ্ডলীর কর্মকর্তাদের নাওয়াখাওয়া কার্যত শিকেয় উঠেছে। স্নাতকস্তরের শিক্ষক নেওয়া হবে স্কুলে। কাগজে বিজ্ঞাপন দেখে প্রচুর দরখাস্ত জমা পড়েছে। পুরোদ্যমে তারই স্ক্রুটিনির কাজ চলছে। প্রধানশিক্ষক নন্দকিশোর হাজরা , ডি,আই – লক্ষ্মীকান্ত রায়ের পাশাপাশি হাজির রয়েছেন স্কুল পরিচালন কমিটির সম্পাদক বিরুপাক্ষ পাল সহ অন্যান্য সদস্যরা। সম্পাদকমশাই নিজে নামস্বাক্ষর। কিন্তু হলে কি হবে এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব এবং অর্থশালী হিসাবে পরিচিতি রয়েছে। সেই সুবাদেই স্কুলপরিচালন সমিতির সম্পাদকের পদটি পেয়েছেন। ঝাড়াইবাছাই করতে করতে একটি বি,কম ছেলে সেরা নির্বাচিত হয়। ছেলেটির ডিগ্রি উল্লেখ করে প্রধানশিক্ষক নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্যদের জিজ্ঞেস করেন , ‘ মনে হচ্ছে এই ছেলেটির অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার সবার থেকে ভালো। একেই নেওয়া যাক নাকি ? ‘
ডি,আই সহ পরিচালন সমিতির অন্যান্য সদস্যরাও সহমত পোষণ করেন।সম্পাদকমশাইই কেবল বেঁকে বসেন , ‘ বলো কি ? তোমাদের দেখছি কথার সঙ্গে কাজের কোন মিল নেই। চেয়েছো বি,এ পাশ। আর এতো বি , এ’তেই কম। অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার ভালো হলেই বা ?একেই নিতে হবে ? এত এত বি,এ পাশ থাকতে তাকেই নেওয়ার মতলব কেন শুনি ? সেকি তোমাদের কেউ হয়টয় নাকি ? ‘
তাঁর কথা শুনে ‘ থ ‘ হয়ে যান প্রধানশিক্ষক। ডি,আই-এর সামনে লজ্জায় তার মাথা কাটা যায়। সম্পাদকমশাই আবার তারই সোদর মামা কিনা !