অণুগল্পে অনিমেষ গুপ্ত

কীট – পতঙ্গ – উদ্ভিদ জন্ম বিষয়ক
আরসোলা কিংবা টিকটিকি জন্মের হিত সম্বন্ধে বিশ্বাসী হয়ে উঠছি। মাঝেমাঝে মনে হয় শামুক হয়ে বাঁচি। কী এমন ক্ষতি যদি গাছ হয়ে বাড়ি! কেউ মানুক না মানুক এসবও অঙ্গাঙ্গী মানসিক আচার। সহ্য বাড়ে, নীরবতার শিক্ষা লাভ হয়। জানা যায় রুষ্ট হলে ঝড়ের সামনে কোন অ্যাঙ্গেলে কতটুকু নুয়ে থাকতে হয়।
তিনি বলতেন, জীবের আদল, অসুখগুলো চেন। চরাচর ঘিরে এইযে অগুনতি ছায়া… এর থেকে নিজেরটি খোঁজো। ঝঙ্কারে বেজে ওঠো এই শব্দ-সমুদ্রে। এরমধ্যে কোন তরঙ্গ তোমার! চিনে নাও, পরখ করে দ্যাখো। বৃক্ষজন্মে লেখা আছে অন্তিমের ঠিকানা।
বলতেন, সব মেশাতে হবে। সূর্যকিরণে, ঘাসে ঘাসে, শিশিরের নেশায়। পূরণ হওয়া, না-হওয়া সব ইচ্ছে-অনিচ্ছে, বলা কিংবা না বলা কথার সম্ভার এবং সন্তানদের জন্য ডুকরে ওঠা হঠাৎ যন্ত্রণা।