সাপ্তাহিক ধারাবাহিকে অনিরুদ্ধ গোস্বামী (পর্ব – ২৩)

অদৃশ্য প্রজাপতি
বিন্সি: ইয়া বস দৌড়াবে বলে লাফিয়ে উঠে জড়িয়ে ধরলো।
বললাম :হেল্প উরসেল্ফ উইথ জুস এন্ড এনজয় দি ভিউ ফ্রম ব্যালকনি । বিন্সি আজ একটু বেশি মাত্রায় চঞ্চল।
ঘি রোস্ট এর মসলা টা তৈরী করে নিলাম তারই মধ্যে। মন পরে আছে কাগজের ওই ঠিকানা তার দিকে। আথিরার সাথে কি সম্পর্ক ওই কোম্পানির। কর্পোরেট espionage এর ব্যাপার নয় তো ?
এইসব ভাবছি ঘি এর মধ্যে প্রন্স আর মশলা মেশাতে মেশাতে। সুন্দর ঘি আর রোস্ট করা মশলার গন্ধে চারিদিকে ম ম করছে। বিন্সি পিছন থেকে এসে বললো সুন্দর একটা গন্ধ ছড়িয়েছে। টেস্ট করতে পারি। বলে নিজেই তুলে নিয়ে একটা প্রন মুখে পুরে দিল। গরম টা জিভে লাগতেই উঃ আঃ করে লাফাতে লাগলো। সেই অবস্থায় খোলা মুখে ফু দিতে একটু ধাতস্ত হলো। আমার ঠোঁট তার মুখের খুবই কাছে। এক পলক আমার চোখের চোখ রাখলো …গলার স্বর যেন একটু অন্যরকম … ডেলিসিয়াস নীল বলে নিজের ঠোঁট দিয়ে আমার জড়িয়ে রাখলো আবেশে। তার জিভ আর অন্য এক স্বাদের সন্ধান করে চলেছে আমার মুখের মধ্যে। তার একটা হাত ঘর্মাক্ত আমার বুক বেয়ে গলার কাছে আলতো করে স্পর্শ করে রইলো। সে অপর দিক থেকে সাড়া পেলো না ।
বললো :নীল আমার সমর্পনের কি ঘাটতি থেকে গেল ?
আমি তার হাত ধরে বললাম বিন্সি আমি যে সমর্পিত। হাত ছাড়িয়ে চলে গেল। সব প্রেম মনে
হয় মানুষ কে একা করে দেয়।
প্রোডাক্ট লঞ্চ
বুধ বার যথারীতি সেলস টীম এবং আমরা মার্কেটিং টীম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ডাক্তার প্রমোশন এ নেমে পড়লাম। বিশেষ কিছু ডাক্তার যাদের মতামত অন্যেরা গুরুত্ব দিয়ে শোনেন তাদের নিয়ে
সাইন্টিফিক মিটিং করা হলো সন্ধ্যে বেলায়। সেটার লাইভ ভিডিও কনফারেন্সিং অন্য সব হেডকোয়ার্টার এ দেখানো হল। বেশ কিছু সাফল্যর খবর ও আসতে শুরু করলো। ডাক্তার রা ফ্রি সিরিঞ্জ এর কনসেপ্ট টা খুবই ভালো ভাবে নিয়েছেন। পরের দশ দিন বিভিন্ন জায়গায় টুর রাখলাম। সেখানকার প্রধান ডাক্তার দের সাথে দেখা করে আমাদের প্রোডাক্ট টা আলোচনা করলাম। আমাদের মিলিত প্রচেষ্টা অচিরেই ফল দিতে শুরু করলো। সেলস এর গ্রাফ উর্ধমুখী।