রাশ পূর্ণিমা – হাস, ভালোবাস!
শ্রী রাই আর শ্রী কানাই।
বৃন্দাবন আজ মেলায় মন।
শশী ঐ পূর্ণ, ডেকে বলে, পূর্ণ হোক মিলনের নিশি।
আলো দূর করে তামসি কালো।
জ্বাল অন্তরে প্রেমের আলো!
ঢালো আরও ভালো!
অনন্ত প্রেম অফুরন্ত।
এসো হে অমর প্রেম, শুধু ভালোবেসো!
চঞ্চল যমুনা জল।
ছল ছল ছল – আকর্ষণ প্রবল।
টানে বয়ে চলে প্রেমের মিলন স্থল মোহনার পানে।
নিয়ম এ প্রকৃতির, সৃষ্টির মূলে, আদি প্রিয়ম।
আজ রাশে প্রেমিক ও প্রেমিকা করে প্রেমের সাজ।
২| হ্যান্ড অফ গড
মারাদোনা আছেন মারাদোনাতেই।
আঁখির কান্না-রোনাতেই…
অমৃতের সন্তানের মৃত্যু নেই।
তিনি আছেন চির অমরত্বতেই।
তাঁর জার্সী ফুটবল প্রেমীর আরশি।
হ্যান্ড অফ গড।
ফুটবলের লর্ড…
৩| শীত পড়েছে তাই
শীত পড়েছে, শীত পড়েছে, শীত পড়েছে ভাই।
ঠান্ডা জলে স্নান করি না তাই।
ভর দুপুরে রোদে বসে চুল শুকাই।
আর একই সঙ্গে কমলা লেবুও খুব খাই।
এ তো মর্তের সুধাই।
আর মটরের খোসা ছাড়াই।
সন্ধ্যের সময় ঠাম্মার সাথে পিঠে বানাই।
তখন দাদু মোবাইল ফোনে শোনে সানাই।
আর দাদুর পায়ে তেল মালিশ করে বালক কানাই।
মারা গেছে দুজনেই, ওর মা বাবাই।
ওর বাবা ছিল দাদুর দূর সম্পর্কের জামাই।
এখন তাই কানাই-এর বাড়ী আমাদের বাসাই।
রাতের বেলায় লেপের তলায় মুখ লুকাই।
মায়ের গায়ে গা লাগিয়ে ঘুমাই।
মা তো যেন দেবী শ্রী উমাই।
এমন সুখ আর দুনিয়ায় নাই।
সবার সাথে গরম দেশে বেড়াতেও যাই।
তখন তো ঘাম ঝরাই।
ঠান্ডা জলে সাঁতার কাটাও চাই।
আহা বড় তৃপ্তি পাই।
৪| মারাদোনা
মারাদোনা তুমি।
ফুটবল ও তার ভূমি
আজ কাঁদে তোমার শোকে।
আর বিশ্বের যত ফুটবলপ্রেমী অশ্রুসিক্ত চোখে।
তুমি ছিলে, আছো ও থাকবে মনে।
জগৎ ধন্য হয়েছিল পেয়ে তুমি ধনে।
আবার এসো হে ফিরে
নব জন্ম নিয়ে বল ছুঁড় শিরে,
পায়ে পায়ে পায়ে….
নব পোশাক পড়ে গায়ে।
তোমার খেলা আমাদের চির প্রিও।
ফের ফিরে এসে তা ফিরিয়ে দিও।
৫| শীতের ভোরে আমি
খেঁজুর গাছে রসের কলস।
ভোরের ঘুমে নই অলস।
সুশীতল সুধা পান করি;
মন প্রাণ ভরি।
আহা কি সুস্বাদু!
গাঁয়ের পান-যাদু।
রোজ ভোরে চোখ খুলেই বাগানে ছুটি।
শুধু এই রসের টানেই তো উঠি।
কলস যত ভরে সারা রাতেই।
যত দিনের আলো ফোটে,
বেলা বাড়ার সাথে সাথে সাথেই
ততই এই রস গেজে ওঠে। ( চন্দবিন্দু হচ্ছে না )
তাই তো শুকতারা সাক্ষী রেখে পান করা।
গাঁয়ের প্রকৃতি শুদ্ধ অমৃতে ভরা।