নিছক গদ্যে অঞ্জলি দে নন্দী

আনন্দ নিতে জানতে হয়

আজ দোসরা অক্টোবর। ছুটি। আমরা আজ সকালে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলুম। এরপর হোয়াটস’পে – চ্যাট করছি। এরপর ভিডিও কল। আমি দিল্লীর। সীমা হায়দ্রাবাদের। আর দুজন কলকাতার। নিজেদের মধ্যে কথা মজা আর হাসি। আমরা বিয়ে করেই বরেদের সঙ্গে প্রথম আসি হিন্দন, উত্তর প্রদেশের এয়ারফোর্স কোয়ার্টার্স – এ। তখন অল্প বয়সী। এখন পৌঢ়ত্ব। কারোর সাথে কারোর দেখা নাই। সব স্বামীই এয়ারফোর্স ছেড়েছে। অন্য জব করছে। মাঝে প্রায় আঠাশ বছরের অদেখা। শরীরে সবাই বিরাট পরিবর্তীত হয়েছি। তবে আড্ডায় সেই সে ঠিক আগের মতই। হয় তো একেই বলে সম্পর্ক রাখার জন্য সত্যিকারের দিলের জরূঢ়ত হয়। আত্মহংকার ও আত্মস্বার্থপরতা কখনোই আনন্দ দিতে পারে না। পারস্পরিক সম্বন্ধে যদি নিজের সম্বন্ধে অহংকার ও স্বার্থপরতা থাকে তবে তা ঠিক থাকে না। অচিরেই সে সম্বন্ধ শেষ হয়। জীবনের দুঃখ ও কষ্টকে দূর করতে এই ভালোবাসার সম্বন্ধ জরুরী। আর এই টুকরো টুকরো টুকরো আনন্দ তো জীবনে সুখে বাঁচার চাবিকাঠি। এখানে পার্থিব লাভ নাই তবে মানসিক শান্তি আছে।
Spread the love

You may also like...

error: Content is protected !!