সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ২৬)

না মানুষের সংসদ

কান্তুদা ভজুকে বলল,
তুই সেকেন্ড হাফে নামিস । এই ছেলেটার নাকি পায়ে কাজ আছে ।
কান্তুদাই রেফারি কাম কোচ । খেলা শুরুর আগে কান্তুদার বয়সি পল্টনদা এলো শ্রোত্রিয়ের কাছে ।
তোরা এখন যেখানে থাকিস আমাদের মাঠ ছিল । আই.এফ.এ. শিল্ডও হতো একসময় । সেই মাঠে দশটা বাড়ি হল, লোহার গেট দেওয়া, চারিদিকে পাঁচিল ।
এবার সে বাঙাল ভাষায় বলল –
তুমার নাম খানা কইবা!
শ্রোত্রিয় ।
কি কইতাছে কান্তু !
কান্তুদা হেসে বলল,
তোর ডাক নামটা বলবি !
লাল্টু । শ্রোত্রিয় বলল ।
‘হ’ বুঝছি । সেলফিস গ্যাম খেলবা না । ফুটবল টিম গ্যাম ।
হাসি পেল শ্রোত্রিয়ের । সেও বাবা-মায়ের সূত্রে বাঙাল । যদিও বাঙাল ভাষা জানে না । অনেক কষ্টে হাসি চাপল ।
খেলা শুরু হলে দেখল উল্টোটা । প্রত্যেকেই যে যার মতন খেলছে । কেউ কাউকে পাস দিচ্ছে না । শ্রোত্রিয় একদম বল পাচ্ছে না । হঠাৎ একটা বল তার বুকে এসে লাগল । নিজের অজান্তেই বুক দিয়ে রিসিভ করা হয়ে গেল । এরপর সে একটা থ্রু দিল, ডিফেন্সে চিড় ধরিয়ে ।
বল পেল শ্যামল । সে ঘুরে গিয়ে গোলার মতন শট নিল । বাপির হাতে লেগে গোলে ঢুকে গেল বল ।
কান্তুদা বলল,
সাবাস লাল্টু । চমৎকার থ্রু বাড়িয়ে ছিস ।
হাফ টাইম শ্রোত্রিয়কে পাশে নিয়ে বসল কান্তুদা ।
আগে কোথায় খেলতিস !
ফুট টেনিস খেলতাম কলকাতার গলিতে ।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।