সাপ্তাহিক ধারাবাহিক উপন্যাসে অভিজিৎ চৌধুরী (পর্ব – ৫৫)

না মানুষের সংসদ
কেন ?
প্রায় খেপে গেলেন নন্দ-স্যার ।
এই তো আমরা হুলো বেড়ালকে কবর দিয়ে এলাম ।
মানে ! চমকে উঠলেন নন্দ-স্যার ।
তারপরই বললেন,
কে মারল ওকে !
কয়েকটা শেয়াল ।
নন্দ-স্যার বললেন,
ইউরেকা, অশুভ শক্তি ভয় পেয়েছে । হুলো মৌলিক অধিকারগুলি ভালো বুঝছিল ।
ইন্দ্র ফিসফিস করে বলল,
কান্তু, মাথাটা গেছে ।
নন্দ-স্যার বললেন,
আর ছদ্ম – লোকসভা বা বিধানসভা নয় । না – মানুষের রাজ্যে খুব তাড়াতাড়ি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে । কাল ভোরে ঘোষনা হবে নির্বাচনের ফলাফল । দুপুরের মধ্যে সংসদ গঠন করতে হবে ।
সবার দিকে তাকিয়ে বললেন,
তোমরা আমায় সাহায্য করবে তো !
কান্তু – শেয়ালের বাহিনীকে আটকাতে হবে । পারবি তো !
কান্তু বলল,
সে আর এমনকি ! আমরা থাকলে শেয়ালের দল এমনিতেই আসবে না ।
তবে মুখে ‘হ্যাঁ’ বললেও সকলেই ভাবল নন্দ-স্যার বদ্ধ উন্মাদ । তবু তারা পাঁচকান করল না । রাতের কাণ্ডটা দেখা দরকার ।
ওরা চলে গেলে নন্দ-স্যার হুলোর জন্য ব্যথিত হয়ে পড়লেন । সবে আলাপ শুরু হয়েছিল । সকলেই যখন মৌলিক অধিকার নিয়ে ব্যস্ত, হুলোই একমাত্র মৌলিক কর্তব্যের দিকটা মন দিয়ে শুনেছিল ।